সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। তবে কক্সবাজার জেল সুপার নেছার আলম জানিয়েছেন, তাদেরকে জেল কোড অনুযায়ী সুবিধা দেওয়া হবে।
সোমবার রাতে জেল সুপার বলেন, মামলার রায়ের পর সন্ধ্যায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে পুলিশভ্যান কারাগারে পৌঁছায়। এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে অন্য আসামিদের কাছ থেকে আলাদা করা হয়। তাদের কারাগারের একটি কক্ষকে কনডেম সেল ঘোষণা করে সেখানে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার জেলা কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য আলাদা কোনো কনডেম সেল নেই। এ কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এলে কিছু কক্ষকে কনডেম সেল ঘোষণা করে সেখানে রাখা হয়। জেল কোড অনুযায়ী তাদের প্রতিদিন খাবার ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।
নেছার আলম জানান, সিনহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি কয়েদি হিসেবে গণ্য হবে। এ কারণে তাদের অন্য কয়েদিদের সঙ্গে সেলে রাখা হবে। একইসঙ্গে খালাস পাওয়াদের বিষয়ে আদালতের কাগজপত্র এলে মুক্তি দেওয়া হবে। এর আগে সোমবার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। বিচারক বাকি ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এপিবিএনের তিন সদস্যসহ ৭ জনকে খালাসের রায় দেন।