বেজে উঠেছে বিশ্বকাপের ডামাডোল। বিশ্বজুড়ে ফুটবল প্রেমীদের মনে বাঁধ ভাঙা উল্লাস। জনপ্রিয়তা,পরিসংখ্যান, শক্তিমত্তা কিংবা মাঠের খেলায় কে এগিয়ে কে পিছিয়ে, তা নিয়ে চলছে পোল-প্রেডিকশন। এবার প্রকাশিত হলো নতুন এক তালিকা। কোন দলের মূল্য কত বেশি তা নিয়েই এবারের হিসাব নিকাশ।
খেলোয়াড়দের বাজার মূল্যের ডেটা ব্যবহার করে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা বলছে, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নয় বিশ্বকাপে সবচেয়ে মূল্যবান দল ইংল্যান্ড। থ্রি লায়ন্সের একাধিক খেলোয়াড় রয়েছেন, যাদের মূল্য ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি। যেমন হ্যারি কেইন, ফিল ফোডেন বা জেডন সানচো। ইংল্যান্ড স্কোয়াডের মূল্য ১.২৬ বিলিয়ন ইউরো বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য ১৩ হাজার কোটিরও বেশি।
এরপরেই রয়েছে পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী দল ব্রাজিল। সেলেসাওদের মূল্য ১.১৪ বিলিয়ন অর্থাৎ ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। রয়েছে নেইমার, ভিনিসিয়স জুনিয়রের মত দামি খেলোয়াড়। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বাজারমূল্য ১.০৮ বিলিয়ন। কিলিয়ান এম্বাপের একার মূল্যই যেখানে ১৬ কোটি ইউরো।
চার নাম্বারে আছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। যাদের বাজারদর ৯৩৭ মিলিয়ন ইউরো। সিআরসেভেন ছাড়াও পর্তুগীজ শিবিরে রয়েছে রাফায়েল লিয়াও কিংবা বের্নার্দো সিলভার মতো মূল্যবান খেলোয়াড়। পঞ্চম স্থানে স্পেন। স্প্যানিশদের বাজারমূল্য ৯০২ মিলিয়ন ইউরো। দামি খেলোয়াড়ের তালিকায় রয়েছেন পেদ্রি আর আনসু ফাতির মতো খেলোয়াড়।
তালিকার ছয় ও সাত নাম্বারে রয়েছে জার্মানি ও আর্জেন্টিনা। জার্মান স্কোয়াডের বাজারমূল্য ৮৮৫.৫ মিলিয়ন ইউরো। ১৯ বছর বয়সী জামাল মুসিয়ালার নাম রয়েছে দামি খেলোয়াড়ের তালিকায়। তারকায় ঠাসা আর্জেন্টিনার মূল্য ৬৫২ মিলিয়ন ইউরো। লিওনেল মেসিকে একপাশে রাখলে তালিকায় এগিয়ে লাওতারো মার্তিনেজ আর রদ্রিগো দি পল। ৮, ৯ আর ১০ নম্বরে আছে যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও উরুগুয়ে। কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের দৌড়ে এগিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার ব্যক্তিগত মূল্য ১৬০ মিলিয়ন ইউরো অর্থাৎ ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকারও বেশি।