অনেকের মতে, বিশ্বকাপ জয়ের এটাই বেশ ভালো সুযোগ আর্জেন্টিনার। বল পায়ে লিওনেল মেসি আছেন দারুণ ছন্দে। দলগত পারফরম্যান্সেও লিওনেল স্কালোনির দল এগিয়ে সবার চেয়ে। প্রায় তিন বছর ধরে তো আলবিসেলেস্তেরা হারেনি কোনো ম্যাচ। অপরাজিত আছে টানা ৩৫ ম্যাচ ধরে। তবুও আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের ফেবারিট মানতে নারাজ।
দারুণ ছন্দে থাকার পরও নিজেদের নির্ভার রাখতেই কি-না মেসির এমন মন্তব্য। তবে এই ফরোয়ার্ড নিজের যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তার মতে, ৩৬ বছর পর প্রথম বিশ্বকাপ জিততে চাইলে আর্জেন্টিনাকে সবার আগে যে কাজটা করতে হবে, ফেবারিট তকমা গায়ে লাগানো যাবে না। ‘ইউনিভার্সো ভালদানো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি এমনটাই জানিয়েছেন।
বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগে আজ বুধবার আবুধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। তার আগে সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার, কোচ এবং বর্তমানে বেইন স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা হোর্হে ভালদানোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘এখন সব দলের বিপক্ষে খেলাই কঠিন। বিশ্বকাপে সব দলকে হারানোই কঠিন হবে।’
কেন ফেবারিটের তকমা গায়ে মাখতে চান না, সেই যুক্তি এরপর দেন মেসি। তিনি বলেন, ‘(অপরাজিত থাকার পথে) ইউরোপিয়ান দলগুলোর বিপক্ষে আমরা খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। যদিও ওরা আমাদের বিপক্ষে খেলতে পছন্দ করে না। তবে লাতিন দলগুলোকে হারানোও কঠিন। আর আমরা ভালো ফর্ম নিয়েই বিশ্বকাপে খেলব। কিন্তু আমরা ফেবারিট তকমার ফাঁদে পা দিয়ে বিশ্বাস করতে পারি না, ফেবারিট হওয়ায় এমনিতেই জিতব। আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে এবং ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে।’
কাতারে আর্জেন্টিনা বাদেও ফেবারিট হিসেবে অংশ নেবে ব্রাজিল এবং ফ্রান্স। মেসিও ফেবারিটের তকমাটা এ দুই দলকেই দিলেন, ‘ফ্রান্স ভালো দল। তাদের কয়েক জন খেলোয়াড় চোট পেলেও ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো দল গড়েছে। দলে সেরা খেলোয়াড়েরা আছেন এবং এমন এক কোচ আছেন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করে গত বিশ্বকাপও জিতেছেন। ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরাও বেশ ভালো। বিশেষ করে আক্রমণভাগে। তাদের ভালো ৯ নম্বর আছে, নেইমারও আছে।’
সাক্ষাৎকারে ফাইনালের কথা উঠলেও মেসি বিনয়ে এড়িয়ে গেছেন সেই প্রসঙ্গও। এই আর্জেন্টাইন তারকার সব মনোযোগ এখন প্রথম ম্যাচকে ঘিরে। আগামী ২২ নভেম্বর সৌদি আরবের মুখোমুখি হয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করবে আর্জেন্টিনা। তার আগে বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে স্কালোনির দল। ম্যাচটিকে সামনে রেখে সোমবার দলীয় অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন মেসি। করেছেন অনুশীলনও। এদিন মেসিকে দেখতে আল নাহিয়ান স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো মানুষ। আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচেও স্টেডিয়াম ভর্তি মানুষ থাকবে। তাদের সামনে জয় তুলে নিয়েই দোহায় পা রাখা এখন আর্জেন্টিনা অধিনায়কের প্রধান লক্ষ্য।