২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ভর্তির জন্য ১০ দিনে ১২ লাখের বেশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন। তারা ৫৫ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৪ ইএসভিজি চয়েজ (কলেজ পছন্দ) দাখিল করেছেন। এর মধ্যে পেমেন্ট সম্পন্ন করেছেন ১০ লাখ ৫ হাজার ৪৫৮ আবেদনকারী।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ওয়েবসাইটে সোমবার (৩ জুন) রাত ১০টা পর্যন্ত আবেদন করেছেন ১০ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ জন। মঙ্গলবারের তথ্য এখনো হাতে আসেনি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে একদিনে আরও এক লাখের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। সে হিসাবে আবেদনের সংখ্যা ১২ লাখের বেশি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন ধাপের ভর্তির মধ্যে প্রথম ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া ১১ জুন পর্যন্ত চলবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করে পেমেন্ট করতে পারছিল না। তারা এখন আবেদনের ফি বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবে। আবেদন ফি পরিশোধের পর একাদশ শ্রেণিতে স্মার্ট ভর্তির সিস্টেমে লগ ইন করে পোর্টাল থেকে নিশ্চিত হতে পারবে তার পেমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে কি না।
শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, আবেদন করার সুবিধার্থে ফি পরিশোধ না করা থাকলেও আবেদন করতে পারছে ভর্তিচ্ছুরা। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদন করার পর নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে, নতুবা আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
আবেদনের সাইট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এর আগে সার্ভার জটিলতার কারণে একাদশ শ্রেণির ভর্তি আবেদন যথাসময়ে শুরু হয়নি। পূর্বঘোষিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী গত ২৬ মে সকাল থেকে ভর্তি আবেদন শুরুর কথা ছিল। তবে সেসময় অনেকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গিয়ে জটিলতায় পড়েছেন। পরে ‘লিঙ্গ অপশন’সহ অন্য সমস্যার সমাধান করলে আবেদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়। আবেদনের পোর্টালে আবেদনকারীর লিঙ্গ ভুল দেখানো সংক্রান্ত একটি ত্রুটি গত ২৮ মে সকাল ১০টার দিকে সমাধান করা হয়।
একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে এবার রাজধানীর কলেজগুলোতে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ হাজার, ইংরেজি মাধ্যমে সাড়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা বাদে অন্য মেট্রোপলিটন এরিয়ায় ৫ হাজার, জেলা শহরে ৩ হাজার এবং উপজেলায় আড়াই হাজার টাকা। এটিই সর্বোচ্চ ভর্তি ফি।
এবার একাদশ শ্রেণিতে ২৫ লাখ আসন থাকলেও এসএসসিতে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার শিক্ষার্থী। সে হিসাবে ৮ লাখের বেশি আসন খালি থাকবে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী। এক লাখ ৮২ হাজার ১৩২ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ।