অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশ থেকে শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের পদত্যাগের বিষয়টি জানানো হয়।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- সহ-সভাপতি ড. আবু জাফর সিদ্দিকী, উপদেষ্টা পুষ্টিবিদ ফরিদ আমিন, যুগ্ম মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মো. ইব্রাহিম রওনক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি এ এস এম মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. আফজাল হোসেন মোর্শেদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক শফিউল বারী রাজু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক লস্কর হারুনুর রশিদ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন মন্ডল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমরান, গণতান্ত্রিক যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ ফয়সাল ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন পাঠান বিপ্লব।
কাজী কামরুল হাসান, জাহাঙ্গীর আল সানি, হারুন অর রশিদ, ইউনুস বেপারী, রেজওয়ানুল ইফতেখার। গণতান্ত্রিক ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা বদরুদ্দোজা, সদস্য সচিব মাওলানা আবদুল হাই নোমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক।
এছাড়া দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
দল থেকে পদত্যাগ করা এলডিপির সহ-সভাপতি ড. আবু জাফর সিদ্দিকী দাবি করেন, দল প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরের এই দীর্ঘসময়ে দেশের রাজনীতিতে অনেক উত্থান-পতন এসেছে। যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমাগত ‘অবস্থান পরিবর্তন’ করে গেছেন অলি আহমেদ। নিয়মিত বিরতিতে রাজনৈতিক অবস্থান পাল্টানোর কারণে ইতোমধ্যে দলের প্রতিষ্ঠাকালের জ্যেষ্ঠ নেতারা নেতৃত্ব ত্যাগ করেছেন। দুর্ভাগ্যক্রমে এই ধারা থেকে অলি আহমদ সরে আসেননি। বরং দিনে-দিনে একটি সুপরিচিত রাজনৈতিক দলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছেন।
অলি আহমেদ চূড়ান্ত অর্থে কর্তৃত্ববাদী ও আত্মঅহংকারে মগ্ন একজন মানুষ বলে দাবি করেন আবু জাফর। তিনি বলেন, যখন তারই মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ পুলিশের মিথ্যা মামলায় কারাগারে, তখন তিনি ভ্রমণে। একটি দলের সভাপতি হিসেবে এরচেয়ে ‘আত্ম অহমিকা’ আর কী হতে পারে।
তবে পাল্টা আরেক বিবৃতিতে অলির অংশের যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দির রাজ্জাক বলেন, দল থেকে পদত্যাগকারী বেশ কয়েকজন নেতা দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় অবস্থানরত অবৈধ প্রবাসীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে এলডিপির প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নকল করে পদ বিক্রি করে আসছিলেন। যা এলডিপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে তাদের এলডিপির দলীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।