লকডাউন নয়, কড়া ‘জনতা কারফিউ’ জারি হচ্ছে ভারতের অন্যতম জনবহুল রাজ্য মহারাষ্ট্রে। মঙ্গলবারার (১৩ এপ্রিল) রাতে প্রশাসনিক এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাত ৮টা থেকে ১ মে সকাল ৭টা পর্যন্ত এই কারফিউ জারি থাকবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদ্ধব এক ভিডিওবার্তায় জানান, মহারাষ্ট্র সরকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিতে কাজ করে চলেছে। কিন্তু যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর প্রবল প্রভাব পড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বার্তায় তিনি বলেন, এখন রাজনীতি করার সময় নয়। প্রতিনিয়ত অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে, হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা কমে আসছে, ওষুধের চাহিদাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তাই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুরো মহারাষ্ট্রেই জমায়েত রুখতে জারি করা হচ্ছে জনতা কারফিউ। বিশেষ কারণ ছাড়া বাইরে বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। সব সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবা, প্রতিষ্ঠান, কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হবে। তবে চালু থাকবে জরুরি পরিষেবা। খোলা থাকবে থাকবে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্যবিমা অফিস, ওষুধের দোকান ও ওষুধ-কারখানা।
স্যানিটাইজার, মাস্ক, টিকা সরবরাহ ও দেওয়ার কাজ চলবে সমান তালে। প্লেন, ট্রেন, ট্যাক্সি, অটো, বাস চলবে। বন্ধ থাকবে শপিংমল, সিনেমা হল। তবে রেস্তোরাঁ থেকে শুধু খাবার কিনে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। রাজনৈতিক সভা, বিয়ে বাড়ি ও শ্রাদ্ধের মতো অনুষ্ঠান করতে হবে নামমাত্র লোক নিয়ে। ইতোমধ্যেই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৮ হাজার ২৪৫ জনের।