গোটা বিশ্বে দাপট দেখাচ্ছে করোনা। করোনার মত মারণ ভাইরাসের লাগাম টানতে বিভিন্ন দেশে নানা সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বড়সড় আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসুস। তার দাবি বর্তমানে যা পরিস্থিতি চলছে তাতে এত সহজে করোনা থেকে মুক্তি নেই বিশ্ববাসীর।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করেছে, সঠিকভাবে করোনার বিধিনিষেধ মেনে চললে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি ১০ টি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছে। যেগুলো মেনে চললে শুধু করোনার সংক্রমণে রাশ টানা যাবে তা নয়।আপনি একটা স্বাস্থ্যকর জীবন পাবেন। সেগুলো হল –
১. আসলে আমরা কি খাচ্ছি সেদিকে নজর দিতে হবে। আমাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যাতে আমাদের শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে করোনা থেকে রক্ষা করতে পারে।
২. করোনা মহামারীতে আমরা অনেকেই বাড়িতে বসে আছি। আমরা সাধারণত যতটা বাড়িতে বসে থাকি তার থেকে বেশি সময় বসে থাকতে হচ্ছে। আমরা সাধারণত যে ধরণের ব্যায়াম করি সেটাও করা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু এটা এমন একটা সময় যখন সব বয়সের লোককে একটু বেশি সক্রিয় থাকতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে। ছাদে, বারান্দায় হাঁটুন, স্ট্রেচিং করুন। যাতে রক্ত সঞ্চালন এবং পেশীর ক্রিয়াকলাপ ঠিক থাকে।
৩. যোগ্যতা অনুযায়ী টিকা-করণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করুন। প্রত্যেকটা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের পর জরুরি ভিত্তিতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং ভয় না পেয়ে টিকা নিন। দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. তামাক জাতীয় দ্রব্যকে না বলুন। এটা শুধু আপনাকে নয় আপনার গোটা পরিবারকে রক্ষা করবে। ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগের মতন মারাত্মক ঝুঁকি থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
৫. মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন। মদ্যপান করলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। এছাড়া মদ্যপানের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৬. মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যে স্ট্রেসকে দূরে রাখুন। গান শুনুন, ব্যায়াম করুন, নিজের পছন্দের জিনিস যা বাড়িতে বসে করা যায় সেগুলো করুন।
৭. সাবান, অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। অযথা নাক, চোখে হাত দেবেন না। হাঁচি বা কাশি পেলে টিস্যু পেপার বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢাকুন। একান্ত রুমাল না থাকলে কনুই দিয়ে নাক মুখ চাপা দিন।
৮. গাড়ি চালানোর সময় মদ্যপান করবেন না। এটা আইনত অপরাধ। এরফলে আপনি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনার কারণে অন্য কেউ বিপদে পড়তে পারে।
৯. নিয়মিত আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমস্যা দেখা যায়। প্রত্যেক ছয় মাস ছাড়া পরীক্ষা করান।
১০. শিশুদের জন্যে সবথেকে পুষ্টিকর খাবার হল মাতৃদুগ্ধ। এটি মা-শিশুর বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। মাতৃদুগ্ধ পান করলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বাচ্চাদের অ্যালার্জি এবং একজিমা থেকে রক্ষা করে।