বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আসা ২২ জন বিচারক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা সহকারী জজ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার বিচারিক কর্মকর্তা। এছাড়া, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বাসায় আইসোলশনে আছেন। গত রোববার করোনা টেস্ট করান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। গতকাল ফলাফল পজেটিভ আসে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক (যুগ্ম জেলা জজ) আবু হাসান খায়রুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ইনস্টিটিউটে দুই মাসের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে ৭০ জন বিচারক আসেন। ৯ই জানুয়ারি প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
সম্ভাব্য উপসর্গ দেখা দিলে ১৫ই জানুয়ারি ৫ জন বিচারকের করোনা পরীক্ষা করা হয়। ফলাফল পজেটিভ আসে। তাৎক্ষণিক ক্লাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। প্রশিক্ষণ নিতে আসা বাকি সব বিচারকদের পরদিন করোনা পরীক্ষা করা হয়, তাদের মধ্যে ১৭ জনের ফলাফল পজেটিভ আসে। এ অবস্থায় ১৬ই জানুয়ারি প্রশিক্ষণ স্থগিত করা হয়েছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অপর এক কর্মকর্তা জানান, করোনায় আক্রান্ত বিচারকরা চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে আছেন। ইনস্টিটিউটে আইসোলশনে আছেন তারা। প্রশিক্ষণ নিতে আসা অপর বিচারকরা ইনস্টিটিউট ছেড়ে গেছেন। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সফরে থাকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) মোখলেছুর রহমান বাদল। তিনি বলেন, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম গত বছর ১৭ই ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যান। তার ছেলে নিউ ইয়র্কে থাকেন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপর থেকে তিনি ছেলের বাসাতেই অবস্থান করছেন। শেষ খবর পর্যন্ত যা জেনেছি তিনি এখন ভালো আছেন।
গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ওমিক্রনসহ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির কোনো জায়গা থাকবে না বলে আগাম সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, আমরা টিকা দিয়ে যাচ্ছি, পাশাপাশি আমাদের ওমিক্রন ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাতে আমরা কিছুটা হলেও চিন্তিত ও আতঙ্কিত। গত বছর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের হার ২৯-৩০ শতাংশে উঠেছিলে। এখন ধাপে ধাপে বাড়ছে, এভাবে বাড়লে ৩০ শতাংশে পৌঁছাতে সময় লাগবে না।
এরইমধ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং সরকার নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করায় ১৬ই জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত ভার্চ্যুয়ালি পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।