করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারির দাফন-কাফন খরচ বাবদ প্রতিজনের জন্যে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ডলার করে দেবে ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। গত মার্চে এই বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে কংগ্রেসে পাশ হওয়া একটি বিলের মাধ্যমে। মৃতদের স্বজনেরা প্রয়োজনীয় তথ্যসহ ১২ এপ্রিল থেকে আবেদন করবেন এই অর্থের জন্যে।
উল্লেখ্য, করোনায় মৃত্যুবরণকারিগণের অনেক স্বজনই চরম দুর্দশায় পড়েছেন। ধার-দেনা করে দাফন-কাফন সম্পন্ন করেছেন। এরপরও অনেকে কাজে যোগদান করতে পারেননি কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্যেও অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিনেট নেতা চাক শ্যুমার এবং প্রতিনিধি পরিষদে নিউইয়র্কেরই কংগ্রেসওম্যান আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-করতেজের দেন-দরবারে এই বিল পাশ হয়েছে। অনেক পরিবারের মূল উপার্জনকারিসহ পরিবারের একাধিক সদস্য মারা গেছেন। অর্থাৎ অবশিষ্টরা চরম অভাবে দিনাতিপাত করছেন। এখন এই অর্থ পেলে ধার পরিশোধের পাশাপাশি অভাব দূর করতেও অনেকে সক্ষম হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিধি তৈরীর পরই সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র মাঠে নেমেছে বলে ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি সতর্ক করেছে সকলকে। তারা বলেছে, এই আবেদনের জন্যে আগাম রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন নেই। ফোন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে। এজন্যে টোল-ফ্রি হট নম্বর (৮৪৪-৬৮৪-৬৩৩৩) চালু করার কথাও জানিয়েছে ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। সোমবার-শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে ফোন করলেই বিস্তারিত পরামর্শ পাওয়া যাবে। করোনায় মারা গেছে এমন তথ্য সম্বলিত ‘ডেথ সাটিফিকেট’ লাগবে। গত বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে চলতি সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন এমন ব্যক্তিদের স্বজনরাই পাবেন এ সুবিধা।
মৃত ব্যক্তির স্বজনেরা নন-সিটিজেন (কাগজপত্রহীন অভিবাসী) হলেও সমস্যা নেই। তবে মৃত ব্যক্তির সাথে তার সম্পর্কের প্রমাণ লাগবে। যদি কোন সংগঠন/সংস্থা দাফন-কাফনের খরচ ব্যয় করে থাকে, তবে তাদেরকে প্রমাণাদি জমা দিতে হবে আবেদনের সময়। স্বজন অথবা নিকটাত্মীয়দেরকেও ফিউনারেল খরচের সমর্থনে ভাউচার সাবমিট করতে হবে। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি যদি কাগজপত্রহীন হয়ে থাকেন, তবুও কোন সমস্যা নেই অর্থাৎ সিটিজেন-নন-সিটিজেন সকলের জন্যেই এ অর্থ পাওয়া যাবে। অর্থ সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে অথবা চেক পাওয়া যাবে ডাকযোগে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার পর্যন্ত করোনায় মোট ৫ লাখ ৬১ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।