গত কয়েকদিনে দেশের শোবিজ অঙ্গনের একাধিক তারকার কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এরমধ্যে জ্যেষ্ঠ অনেককে ভর্তি করানো হয়েছে আইসিইউতে। ঠিক যেন বিষাদের বাতাস বইছে সংস্কৃতি অঙ্গনে।
চলতি সময়ে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে আইসিউতে রয়েছেন বরেণ্য অভিনেতা ও সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। গত মাসে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সেখানে যান তিনি। পরীক্ষা করার পর রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে ফারুককে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এর পর ২৩ মার্চ পর্যন্ত অবচেতন অবস্থায় ছিলেন তিনি। এখন সাড়া দিচ্ছেন এই তারকা।
অন্যদিকে গত ৫ এপ্রিল অভিনেত্রী কবরীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দরকার হয় আইসিইউর। কুর্মিটোলা হাসপাতালে আইসিইউ খালি না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহযোগিতায় তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চলছে এই অভিনেত্রী ও নির্মাতার চিকিৎসা। তবে বর্তমানে কবরীর অবস্থার একটু ভালোর দিকে। তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই কথা বলা ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেন। ১০ এপ্রিল (শনিবার) থেকে তিনি ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন কবরীর ব্যক্তিগত সহকারী নূর উদ্দিন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা এস এম মহসীনের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসার পর তাকে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটায় সোমবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে তাকে। এরপর জানা যায় এম মহসীনের শারীরিক অবস্থা বেশ জটিল। মারাত্মকভাবে ফুসফুসে সংক্রমিত হয়ে পড়েছে। তখন অভিনেতার জন্য জরুরি প্লাজমা প্রয়োজন। বর্তমানে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই বরেণ্য অভিনেতা।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ মার্চ রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসাপাতালে ভর্তি হন দেশের গুণী সুরকার ও সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে তার। ১১ এপ্রিল এই শিল্পীকে হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয়েছে স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে। এই প্রসঙ্গে গীতিকার ফরিদা ফারহান বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে স্যারের (ফরিদ আহমেদ) ১৫ লিটার থেকে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছিল। চিকিৎসকরা দ্রুত আইসিইউতে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু আইসিইউ ফাঁকা পাচ্ছিলাম না। অবশেষে রাত ১১টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে ম্যানেজ হয়। স্যারের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’