করোনায় খাদ্যসহায়তা নিয়ে পথশিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘মজার ইশকুল’। পথশিশুদের শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি শিশুদের খাবার সরবরাহ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য তেল, সাবান-শ্যাম্পু, নিয়মিত মেডিক্যাল চেকআপ করে থাকে। ‘খাদ্য-শিক্ষা-প্রযুক্তি’—মূলমন্ত্রে চলছে মজার ইশকুল। আট বছরের বেশি সময় ধরে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত ন্যাশনাল কারিকুলামে ৮৫০ জন এবং অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় ১ হাজার ৬৫০ সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুকে বিনা মূল্যে শিক্ষা প্রদান করছে এই মজার ইশকুল।
মজার ইশকুলের স্বেচ্ছাসেবকরা পাশে থাকলে, এই যাত্রা থেমে যাবে না বলে জানান প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাকিল আহমেদ। শিক্ষার্থী তাসপিয়া জান্নাত। রাজধানীর আগারগাঁও থাকে সে। বড় হয়ে সে শিক্ষক হতে চায়। তার স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা। বাবা কাজ করেন হোটেলে আর মা পরিচ্ছন্নতা কর্মী। তাসপিয়া মজার ইশকুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। লামিয়া আক্তার লেখাপড়া শিখে ডাক্তার হতে চায়। বাবা দিনমজুর, মা চটপটির দোকানদার। লামিয়া মজার ইশকুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সাবিনা ২০১৭ সালে রাজধানীর আগারগাঁও এ ভর্তি হয়।