পাকিস্তান সফরে এসে একের পর এক করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলে। খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফ- সবমিলিয়ে মোট ৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে ক্যারিবীয়দের পুরো সফরটাই না বাতিল ঘোষণা করতে হয়, সে শঙ্কা জেগেছিল।
তবে, ভালোয় ভালোয় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করা হলেও ওয়ানডে সিরিজ চালিয়ে নেয়ার ঝুঁকি আর নিলো না আয়োজক পাকিস্তান কিংবা সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ওয়ানডে সিরিজটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
শনিবারই শুরু হওয়ার কথা ছিল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি। কিন্তু এখন সেই সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর জুনে।
পাকিস্তানে এসে পৌঁছার পরই তিন ক্যারিবীয় ক্রিকেটারের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হলেও পরবর্তীতে, গত বুধবার আরও ৫ ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফের কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
এই পরিস্থিতিতেও বৃহস্পতিবার সফরের তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০৭ রান করার পরও পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরে যায়।
৮জন করোনা আক্রান্ত। একই সঙ্গে আঙ্গুলের ইনজুরির কারণে ক্যারিবীয় স্কোয়াডের ডেভন থমাস চলে গেছেন দলের বাইরে। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে বাকি থাকে মাত্র ১৪ ক্রিকেটার। যেখানে আবার স্পেশালিস্ট ব্যাটারই নেই বলতে গেলে। ফলে ক্যারিবীয়দের একাদশ গঠন করাই পড়ে গেছে ঝুঁকির মধ্যে।
এরপরই দুই বোর্ড আলোচনায় বসে ওয়ানডে সিরিজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশেষ করে এই ওয়ানডে সিরিজ যেহেতু আইসিসি সুপার লিগের অংশ এবং যেহেতু এই সুপার লিগের মধ্য দিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাইও অনুষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে, সে কারণে সিরিজটি আয়োজন করা সমীচীন হবে না বলেই মত সবার।
দুই বোর্ড মিলে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে এ নিয়ে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার সকালে পিসিবি’র কোভি-১৯ প্রটোকল হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাকি ১৫ ক্রিকেটার এবং ৬ সাপোর্ট স্টাফের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে। যেখানে রেজাল্ট সবগুলোই নেগেটিভ এসেছে। এ কারণেই তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। তবে, দুই দলের আলোচনার ভিত্তিতে, দলে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) যেহেতু পর্যাপ্ত ক্রিকেটার নেই, সে কারণে ওয়ানডে সিরিজটি ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।’