করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন ও নারী ১১ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা যান ২৩ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে সাতজন। এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ হাজার ৫২৪ জন।
একই সময়ে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৫২ জন। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৮ জনে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৩৩ জনের মৃত্যু ও নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১১ হাজার ৫৯৬ জন। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৬৮টি ল্যাবরেটরিতে ৩৯ হাজার ৭২৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ৩৯ হাজার ৪৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৫১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
এদিকে, একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬ হাজার ২৮২ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৪ জন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, সিলেটে তিনজন, রাজশাহীতে দুজন, খুলনায় দুজন, বরিশালে একজন। তবে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে এসময় কেউ মারা যাননি।
বয়স অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন, ষাটোর্ধ্ব আটজন, সত্তরোর্ধ্ব ১০ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী চারজন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে শুরু করে।