বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের ফাইভজি অভিজ্ঞতা নিতে হলে, অপেক্ষা করতে হবে আরও তিন মাস। আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হবে ফাইভজির তরঙ্গ নিলাম। এজন্য প্রয়োজনীয় তরঙ্গ অধিগ্রহণের পাশাপাশি এর মূল্য নির্ধারণের কাজ চলমান রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। ইতোমধ্যে গাইডলাইন খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে তরঙ্গ মূল্য সহনীয় রাখার দাবি জানিয়েছে মোবাইল অপারেটররা।
শুধুমাত্র মোবাইলে ভিডিও স্ট্রিমিং কিংবা দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়েই সীমাবদ্ধ নয় বরং, তারচেয়ে বেশি মাত্রায় মেশিন টু মেশিন এ ব্যবহার হবে ফাইভজি প্রযুক্তি । কৃষি, স্বাস্থ্য এবং উৎপাদন কর্মকাণ্ডে এর শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েই ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইভজিতে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।
১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক ঢাকার ৬টি সাইটে এই সেবা নিয়ে আসবে। তবে বেসরকারি বাকি তিন অপারেটরের গ্রাহকদের ফাইভজি অভিজ্ঞতা নিতে অপেক্ষা করতে হবে আরও তিন মাস। এ লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি আগামী বছরের মার্চে বেসরকারি অপারেটরদের জন্য তরঙ্গ নিলামের আয়োজন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র।
কোন কোন ব্যান্ডে তরঙ্গ বরাদ্দ হবে এরই মধ্যে তা চূড়ান্ত করেছে বিটিআরসি। পর্যান্ত বরাদ্দ রাখতে অব্যবহৃত তরঙ্গের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনারও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার কমিশনার একেএম শহীদুজ্জামান। অন্যদিকে রবির কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স প্রধান শাহেদ আলম বললেন, ফাইভজি সেবা ব্যবসা সফল করার জন্য তরঙ্গের উচ্চমূল্য হ্রাস করা জরুরি। টুজি, থ্রিজি, এলটিই এবং ফাইভজির জন্য আলাদা আলাদা লাইসেন্সিং গাইড লাইন না করে, একটি সমন্বিত লাইসেন্সিং গাইড লাইন এর খসড়া তৈরির কার্যক্রম চূড়ান্ত করেছে বিটিআরসি।