দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রায় অর্ধেক আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নিতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে এখনও নতুন করে ইভিএম কেনার প্রস্তাবিত প্রকল্প পাস হয়নি। তবে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনে কত আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি।
ইসির কাছে বিদ্যমান ইভিএম দিয়ে ৭০টির মতো আসনে ভোট করা সম্ভব বলে জানান এই কমিশনার।
আলমগীর বলেন, কত আসনে ইভিএমে ভোট হবে তার সিদ্ধান্ত হবে জানুয়ারির মধ্যেই। এখন যে পরিমাণ ইভিএম আছে তা দিয়ে ৭০টি আসনে ভোট করা যাবে। বাকিটা নির্ভর করে কি পরিমাণ বাজেট পেলাম তার ওপর।
ইসি আলমগীর বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পর্যাপ্ত বাজেট পেলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে। তবে, ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেলে হবে না।
গত ফেব্রুয়ারিতে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর তারা ঘোষণা দেয় আগামী নির্বাচনে ইভিএমে ভোট করতে চায়। তবে এজন্য নতুন করে ইভিএম কিনতে হবে। যদিও তাদের প্রস্তাব পাস এখনও হয়নি।
এদিকে গত জুনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপে ইভিএম প্রসঙ্গ উঠে আসে। সংলাপে দেশের নিবন্ধিত ৩৯টি দলকে আমন্ত্রণ জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি ১১টি। যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ যেসব দল ইভিএমে আগামী নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন তাদের চেয়ে বেশি বিপক্ষে বলেছেন। কেউ আবার জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনে প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরের ইভিএমের সব ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে ইসি মনে করছে ব্যালটের চেয়ে ইভিএমে তুলনামূলক স্বচ্ছ ভোট সম্ভব। এজন্য সংস্থাটি সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে। তবে সেটা নির্ভর করবে নতুন করে ইভিএম কেনার ওপর।