আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোমবার সকালে বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে একটিকক্সবাজারে বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে সংঘর্ষ, আইএসপিআরের ব্যাখ্যা মোটরসাইকেল আটক করা হয়, যেটির কাগজপত্র ছিল না। এতে ওই ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে নেওয়া হলে, স্থানীয় সমিতিপাড়া এলাকার প্রায় ২০০ জনের মতো লোকজন চেকপোস্টে এসে বাধা দেয়। পরে তাদের সঙ্গে বিমান বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় কিছু দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইট পাটকেল ছুড়ে মারে। এতে বাহিনীর চার সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় একজন স্থানীয় যুবক শিহাব কবির নাহিদ গুরুতর আহত হন এবং পরে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিমান বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফাঁকা গুলি ছোড়েন, তবে কোনো ধরনের তাজা গুলি ব্যবহার হয়নি। এতে স্থানীয় জনগণের উপর গুলি করা হয়নি। তবে, সংঘর্ষের সময় বিমান বাহিনীর গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায় এবং স্থানীয়রা ঝোপঝাড়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিল, যা পরে নিয়ন্ত্রণে আসে।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, কিছু অপপ্রচার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে যে, যুবকটি বিমান বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে। কিন্তু তদন্ত করে দেখা গেছে, গুলির খোসা ফাঁকা ছিল এবং প্রাণঘাতী কিছু হয়নি। বিমান বাহিনী এই ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করেছে এবং নিহত যুবকের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছে।
এছাড়া, কিছু অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কক্সবাজারের বিমান বাহিনী ঘাঁটিকে ‘বিমান বাহিনী ঘাঁটি শেখ হাসিনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, যা ভুল। ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনে এর নাম পরিবর্তন করে ‘বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার’ রাখা হয়েছে, যা এখনো বহাল রয়েছে।