কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় দুই যুবক খুন হয়েছে। সোমবার (৩১ মে) সন্ধ্যার দিকে দক্ষিণ রুমালিয়ারছরা মাটিয়াতলী-সিকদার বাজার এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি তদন্ত বিপুল চন্দ্র দে। ঘটনার পর থেকে সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াসের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার বাঁচামিয়ার ঘোনা এলাকার নুরুল করিমের ছেলে রায়হানুল ইসলাম রায়হান (২৪) ও তার সহযোগী রুমালিয়ারছড়া এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সাহেদ (২৬)। সদর থানার ওসি তদন্ত বিপুল চন্দ্র দে জানান, শহরের দুর্গম দক্ষিণ রুমালিয়ারছরা মাটিয়াতলী-সিকদার বাজার এলাকার মাঝামাঝি স্থানে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। ঘটনাস্থল হতে পুলিশ গুলিবিদ্ধ দুটি দেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পাঠায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছু দিন আগে রকি ও সাদ্দাম গ্রুপের মাঝে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে কৌশলে সাদ্দামকে গ্রেফতার করায় রকির আশ্রয়দাতারা। এরপর থেকে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আরেক সন্ত্রাসী আশু আলী গ্রুপ। সাদ্দাম গ্রুপের রায়হান, সাহেদসহ অনেকে রকি গ্রুপের সাথে যোগ দেয়। এরপর থেকেই আধিপত্য নিয়ে আশুআলী ও রকিগ্রুপের মাঝে বিরোধ তুঙ্গে উঠে। এর রেষ ধরে সোমবার সন্ধ্যায় গোলাগুলিতে জড়ায় দু’গ্রুপ। আর গুলিতে নিহত হয়েছেন রায়হান ও সাহেদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, একটি জমির দখল বেদখল নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাহেদ ও রায়হানকে গুলি করার পর রায়হানকে কুপানোও হয়। তাদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পুলিশ। কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, নিহত দুইজনের মধ্যে রায়হানের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা ও একটি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। আধিপত্য নিয়ে বিভিন্ন সময় এখানে সংঘর্ষ হয় সন্ত্রাসীদের। পাশে পাহাড় ও বিপুল বাগান থাকায় অভিযানে সন্ত্রাসীরা সহজে গা-ঢাকা দিতে পারে। এরপরও পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করলেও জামিনে বেরিয়ে আবারও তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।