কক্সবাজারের রামুর চার স্কুলছাত্রের সেন্টমার্টিনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণ করা একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্রের নাম মো. কায়সার। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে কায়সারকে শালবন পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী দলের সদস্য রোহিঙ্গা জাহাঙ্গীরকে আটক করে র্যাব। র্যাব-১৫ এর হোয়াইক্যাং ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর ফারাবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-১৫ এর হোয়াইক্যাং ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর ফারাবি বলেন, শালবন পাহাড় থেকে কায়সারকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অপহরণকারী দলের সদস্য রোহিঙ্গা জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে র্যাব। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি তিনজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
চার স্কুলছাত্রকে অপহরণের অভিযোগে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আজ ভোররাতে তিন রোহিঙ্গাকে আটক করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)। গত বুধবার রাতে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলা পাড়া এলাকার মো. কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহেদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান নিখোঁজের অভিযোগ করেন স্বজনরা। তাদের মধ্যে জাহেদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ও বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
অভিযোগে বলা হয়, কক্সবাজারের রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চারজনকে সেন্ট মার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায় জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
স্বজনদের অভিযোগ, নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর ৮ ডিসেম্বর দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আর তা না পেলে মরদেহ ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়।