ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের নিয়মে পরিবর্তন আনলো আইসিসি। তার স্থলে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য নতুন পদ্ধতি ঠিক করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মঙ্গলবার আইসিসির বোর্ড সভায় ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য র্যাংকিং পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। র্যাংকিং থেকে সরাসরি ১০ দল খেলবে আফ্রিকার তিন দেশে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে। বাকি চার দল খেলবে প্রথাগত বাছাই পর্ব পেরিয়ে।
এর আগে ভারতে হতে যাওয়া ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য তিন বছর মেয়াদী সুপার লিগের ব্যবস্থা করে আইসিসি। সেই সুপার লিগে ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে ২০১৫-১৭ আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের বিজয়ী দল নেদারল্যান্ডস অংশ নিয়েছে। কিন্তু এই পদ্ধতি এই মেয়াদের পর শেষ হয়ে যাচ্ছে।
২০২৩ বিশ্বকাপে অবশ্য সুপার লিগ পদ্ধতিতে বাছাই হবে। প্রতিটি দল খেলবে ৮টি করে সিরিজ। প্রতিটি দল নিজেদের মাটিতে চারটি এবং প্রতিপক্ষের মাটিতে চারটি করে সিরিজ খেলবে। প্রতিটি সিরিজ হবে তিন ম্যাচের। এরপর শীর্ষ সাত দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে। আয়োজক দেশ হিসেবে সরাসরি খেলবে ভারত। সবমিলিয়ে ওই বিশ্বকাপে মোট ১০ দল খেলবে।
২০২৭ বিশ্বকাপে চারটি দল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ওই আসরে খেলবে মোট ১৪টি দল। মূলত দলের সংখ্যা বাড়ানোর কারণেই র্যাংকিং পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে আইসিসি। নির্দিষ্ট একটি তারিখে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ১০-এ থাকা দলগুলো জায়গা পাবে বিশ্বকাপে। বাকি দলগুলো আসবে বাছাই পর্ব পেরিয়ে। এরইমধ্যে প্রধান নির্বাহীদের কমিটির দেওয়া প্রস্তাব আইসিসি বোর্ড গ্রহণ করেছে।
এদিকে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এসেছে আইসিসির বোর্ড সভায়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৯ দলের চলমান দুই বছর মেয়াদী প্রতিযোগিতা চালু রাখা হচ্ছে। ফলে এখনই টেস্ট ক্রিকেটের এলিট এই টুর্নামেন্টে খেলার আশা পূর্ণ হচ্ছে না খেলতে জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের। এছাড়া ছেলেদের ক্রিকেটের মতো মেয়েদের ক্রিকেটেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের মর্যাদা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে আইসিসি বোর্ড।