ওমিক্রন আক্রান্ত বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্য প্রায় ২০ দিনের কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া শেষে বাড়ি ফেরার সনদ পেয়েছেন। সবশেষ করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ প্রমাণিত হয়েছেন দুজনই। (সোমবার) দুপুর ১২টায় তারা হাসপাতাল ছাড়বেন বলে জানা গেছে। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে বাড়ির পথ ধরবেন দুজনই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উইমেন উইংয়ের ম্যানেজার তৌহিদ মাহমুদ বললেন, ‘ওমিক্রন আক্রান্ত নারী ক্রিকেটার দুজনের গতকাল মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে। দুজনের করোনাভাইরাস রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। তারা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। আজই নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যাবেন।’
গত ১ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলে দেশে ফেরে নারী দল। শুরুতে ৫ দিনের কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয় তাদের। সেখানেই দুই ক্রিকেটারের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে পরীক্ষায় ধরে পড়ে ওমক্রন। পরে দুই ক্রিকেটার রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে আইসোলেশন শুরু করেন। বিজয় দিবসের প্রাক্বালে তাদের নেওয়া হয় রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে। সেখানে দুজনই করোনা নেগেটিভ হয়েছেন ১৯ ডিসেম্বর।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে নভেম্বরের শুরুতে জিম্বাবুয়ে গিয়েছিল বাঘিনীরা। সেখানে বাছাইপর্ব খেলতে নামার আগে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি একদিনের সিরিজে অংশ নেয় নারীরা। সেই সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বটা দাপটের সাথেই শুরু করে বাংলাদেশ দল।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল পাকিস্তানকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয়। যদিও পরের ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে হার কিছুটা কঠিন করে দেয় বাংলাদেশ দলের কোয়ালিফাই করার রাস্তাটা। তবে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে গেলে নিয়ম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পায় বাংলাদেশ নারী দল। সেটি মাঠে গড়াবে ২০২২ সালে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে জিম্বাবুয়ে থেকে নারী ক্রিকেটারদের ঢাকায় ফিরতে হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরে। দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলে উৎপত্তি এই ধরনের। ধারণা করা হচ্ছে, জিম্বাবুয়ে তঘেকে দেশে ফেরার পথে ওমিক্রনে আক্রান্ত হন এই দুই নারী ক্রিকেটার।