কান চলচ্চিত্র উৎসবে সবসময় পাশ্চাত্যের পোশাকে দেখা যায় ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায়কে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। পোশাক শিল্পী মণীশ মালহোত্রার সোনা-রুপার জরি দিয়ে কারুকাজ বেনারসিতে সেজেছিলেন তিনি।
শাড়িতে যেমন গয়নার আধিক্য ছিল তেমনই ছিল গলায় চুনি হীরার গয়নার মালা। আর এসব বিরল গয়নার মূল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই।
ঐশ্বরিয়ার সাদা শাড়িটি হাতে বোনা ‘কড়ওয়া’ বেনারসি শাড়ি। ‘কড়ওয়া’ বেনারসির সবচেয়ে কঠিন বুনন পদ্ধতি। সে কারণেই বেনারসির নাম ‘কড়ওয়া’। পোশাক শিল্পী মণীশ নিজেই জানিয়েছেন শাড়িটিতে রুপা এবং রোজ গোল্ডের জরি ব্যবহার করে বুটিগুলো বোনা হয়েছে।
সেই সোনা-রুপার জরির ওপর বুনে দেওয়া হয়েছে সূক্ষ জারদৌসি কাজ। শাড়িতে নাটকীয়তা আনার জন্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে একটি দুধ সাদা স্বচ্ছ টিস্যুর ওড়না। এ শাড়ির সঙ্গে ৫০০ ক্যারেটের মোজাম্বিক চুনির মালা এবং একটি বড় হিরের গয়না পরেছিলেন ঐশ্বরিয়া। হাতে ছিল চুনির আংটি।
জানা গেছে, চুনির হারগুলো প্রতি ক্যারেট মাথাপিছু মূল্য ২০,০০০ থেকে প্রায় ১ লাখ রুপি। ফলে অনুমান করাই যাচ্ছে ৫০০ ক্যারেটের চুনির মালাগুলোর দাম কয়েক কোটি টাকা।
এ ছাড়াও শাড়িতে ব্যবহৃত সোনা গুলি সবই প্রায় ১৮ ক্যারেটের। মোটামুটি বাজার দর অনুযায়ী ১৮ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৭১ হাজার রুপির কাছাকাছি। সব মিলিয়ে কানের লাল গালিচায় পোশাকে প্রায় কয়েক শো কোটি খরচ করেছেন বচ্চন বধূ।
উল্লেখ্য, ২০০২ সাল থেকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাতায়াত ঐশ্বরিয়া রাইয়ের। প্রথম বছর শাড়িতেই সেজেছিলেন অভিনেত্রী। তারপর কেটে গিয়েছে ২৩ বছর।