ক্রিকেটের বহু ঐতিহাসিক ঘটনা আর ম্যাচের সাক্ষী হয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ভারত-পাকিস্তানের অনেক ঐতিহাসিক দ্বৈরথ দেখেছে এই স্টেডিয়াম। নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত শারজাহ স্টেডিয়াম মানেই যেন ক্রিকেটের এক অনন্য উপাখ্যান।
তুলনামূলক বোলিংবান্ধব পিচ হলেও শারজাহ বরাবরই ক্রিকেটারদের কাছে খুবই কাছের এক স্টেডিয়াম। পাকিস্তানে ক্রিকেট যখন নির্বাসিত ছিল, তখনও ভরসার কেন্দ্র ছিল এই আরব আমিরাতের শারজাহ শহরের এই স্টেডিয়াম। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের রেকর্ডও লিপিবদ্ধ আছে এই স্টেডিয়ামের নামেই।
এরইমাঝে নতুন এক রেকর্ডের সাক্ষী আজ হবে ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শারজাহতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচ দিয়েই এই মাঠে গড়াবে ২৫০তম ওয়ানডে ম্যাচ। একদিনের ক্রিকেটে আগে থেকেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ আয়োজনের রেকর্ড ছিল এই মাঠে। আজকের ম্যাচ তাতে যোগ করবে নতুন মাত্রা।
১৯৮৪ সালে আরব আমিরাতের শিল্পনগরী শারজাহতে ওয়ানডে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বিবেচনায় তৈরি করা হয় শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আরব আমিরাতে থাকা প্রবাসী দর্শকদের সুবাদে দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেতে থাকে এই স্টেডিয়াম। শতবর্ষী অনেক স্টেডিয়ামের তুলনায় অনেক বেশি ম্যাচ আয়োজন করেছে শারজাহ স্টেডিয়াম। বিশ্বের একমাত্র স্টেডিয়াম হিসেবে ২০০ ওয়ানডে ম্যাচের আয়োজক এই মাঠ।
সার্বিক বিচারে ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজনের দিক থেকে শারজাহ স্টেডিয়ামের পরেই আছে জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব স্টেডিয়াম। এখন পর্যন্ত সেই মাঠে হয়েছে ১৮২ ওয়ানডে ম্যাচ। তিনে আছে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। সেখানে হয়েছে ১৬১ ম্যাচ। চারে আছে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড এবং শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। দুই ভেন্যুতেই হয়েছে ১৫১ ওয়ানডে ম্যাচ।
ওয়ানডে ছাড়াও ২০১৮ সালে আইসিসি অন্ধ বিশ্বকাপ, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০০৪ সালের আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের আয়োজক ছিল এই স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ থেকে রাজনৈতিক কারণে সরিয়ে নেয়া ২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচও হবে এই স্টেডিয়ামে। ২০১০ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও উঠেছিল এই স্টেডিয়ামের নাম।