২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়ন নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে এই অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। ওয়েবসাইটে পরীক্ষার্থীদের জন্য তিন সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে।
মূল্যায়ন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাভাবিক শিখন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পারছে না। তবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের এনসিটিবির দেওয়া সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, সারাদেশে প্রায় ২২ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া শুরু হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে অ্যাসাইনমেন্ট আপলোড করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেখান থেকে ডাউনলোড করে তা শিক্ষার্থীদের দেবে।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা, সাধারণ বিজ্ঞান, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার মতো আবশ্যিক এবং চতুর্থ বিষয়ে কোনো অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে না। এসব বিষয়ে পরীক্ষাও দিতে হবে না। বিভাগভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক করে মোট ৯ বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। ১২ সপ্তাহ চলবে এ কার্যক্রম।
প্রতিটি বিষয়ে আটটি করে মোট ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। অক্টোবরের মাঝামাঝি এ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর এক মাস থাকবে পরীক্ষার প্রস্তুতির সময়। এরমধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হলে নভেম্বরের মাঝামাঝি নেওয়া হবে এসএসসি পরীক্ষা।
অন্যদিকে, আগামী ২৬ জুলাই এইচএসসি ও সমমানের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া শুরু হবে। ওই স্তরের শিক্ষার্থীদের ১৫ সপ্তাহে মোট ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। এতেও গ্রুপভিত্তিক তিনটি করে নৈর্বাচনিক বিষয়ে মোট ছয়টি পত্রে (প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র) এই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। প্রতি পত্রে পাঁচটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। তাদেরও সপ্তাহে দুটি করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা থাকবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষায় যেসব বিষয়ে ব্যাবহারিক আছে, সেগুলোতে ২৫ এর পরিবর্তে ৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। ইতোমধ্যে এই শিক্ষার্থীদের কাজ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যবহারিক খাতা জমাও নিয়েছে। এছাড়া ১২ নম্বরের এমসিকিউ এবং ২০-২৫ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্নের (সিকিউ) অংশের পরীক্ষা হবে। তবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফল তৈরি করা হবে পূর্ণমান ধরে (১০০ নম্বরে)। এমসিকিউ অংশে ২-৩টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দেড় ঘণ্টা, আর দুই ঘণ্টার পরীক্ষা এক ঘণ্টা নেওয়া হবে।