এশিয়া কাপ ঘিরে যেন জটিলতা থামছেই না। মূল আয়োজক দেশ পাকিস্তানে খেলতে ভারতের অনীহা, হাইব্রিড মডেলে শ্রীলঙ্কাকে সহআয়োজক করার মত ইস্যু নিয়ে থমকে আছে পুরো আয়োজন। এখন পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি টুর্নামেন্টের পুরো সূচি। ডারবানে আইসিসি’র বৈঠক চলাকালেই অবশ্য সেই জটিলতা কেটে যাবার কথা।
তবে, সূচি চূড়ান্ত হবার আগেই নতুন করে আরও এক দাবি নিয়ে হাজির হয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। নিজ দেশে আরও কিছু ম্যাচ আয়োজন করতে আগ্রহী পাকিস্তান। সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া বিবেচনায় এমন চিন্তাভাবনা করছে তারা।
আগেই নিশ্চিত হয়েছিলো, বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বরে মাসে অনুষ্ঠিত হবে এবারের এশিয়া কাপ। ভারতের আপত্তির মুখে পাকিস্তান থেকে টুর্নামেন্টের ৯টি ম্যাচ সরিয়ে নেয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তবে পুরো সেপ্টেম্বর জুড়েই শ্রীলঙ্কার বেশিরভাগ অঞ্চলে আছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আর সেক্ষেত্রে ভেস্তে যেতে পারে অনেকগুলো ম্যাচ।
মূলত শ্রীলঙ্কার এমন বৈরি আবহাওয়ার কারণেই আরও কিছু ম্যাচ নিজেদের দেশে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সংস্থাটির একটি সূত্র জানিয়েছে এনিয়ে এসিসির সভায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে তারা।
এশিয়া কাপের মূল আয়োজক পিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা এখন ডারবানে অবস্থান করছেন। সেখানে আইসিসির বার্ষিক সভায় উপস্থিত আছেন অন্যান্য বোর্ডের কর্তারাও। সেখান থেকে ফিরেই তারা এসিসির বৈঠকে যোগ দেবেন। সভায় এসিসি সভাপতি জয় শাহ ও সদস্য দেশগুলোর কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ভারতের প্রবল আপত্তির মুখে প্রায় একমাস আগেই সহ-আয়োজক হিসেবে শ্রীলঙ্কার নাম প্রস্তাব করা হয়। বর্তমান প্রস্তাবনা অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বের প্রথম চারটি ম্যাচ হওয়ার কথা পাকিস্তানে। আর বাকি ম্যাচগুলো হবে শ্রীলঙ্কায়। ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি হবে ডাম্বুলায়।
এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ আছে ৪টি ম্যাচ। নেপালের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচটি হতে পারে লাহোরে। এ ছাড়া আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ও শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে পারে সেখানে।