দুই দিন পরই মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপ। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে এবার আয়োজন করবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এ টুর্নামেন্ট। প্রথম চারটি ম্যাচ পাকিস্তানে হওয়ার পর ফাইনাল সহ বাকি ম্যাচগুলো হবে শ্রীলঙ্কায়। এদিকে ২০০৯ সালে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার দীর্ঘদিন পাকিস্তানে হয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, এরই ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের পর এবার বড় কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে দেশটি। জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পিসিবি, ফলে ক্রিকেটারদের সুরক্ষায় মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনীও।
এবারের এশিয়া কাপ আয়োজিত হবে হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হবে। সহ আয়োজন হিসেবে থাকছে শ্রীলঙ্কা। পুরো টুর্নামেন্টই পাকিস্তানে আয়োজিত হবার কথা থাকলেও তা হয়নি মূলত ভারতের বিরোধিতার কারণেই। এদিকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
এসব কারোণেই এশিয়া কাপের নিরাপত্তার বিষয়ে বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পিসিবি। পাকিস্তানে ক্রিকেট বোর্ড আগে থেকেই অতিরিক্ত নিরাপত্তার দাবী জানিয়ে আসছিল।
দেশটির গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী এসব কারণেই দেশটির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার টুর্নামেন্টে দলগুলোর নিরাপত্তায় সেনা মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছে। আর এতে পাক সেনাবাহিনীর পাঞ্জাব রেঞ্জার্স দায়িত্বে থাকবে বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ্য আগামী ৩০ আগস্ট মুলতানে পাকিস্তান এবং নেপালের মধ্যকার ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে এবারের আসর। এরপর আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি আয়োজিত হবে লাহোরে ৩ সেপ্টেম্বর। ৫ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আফগানদের ম্যাচটিও একই ভেন্যুতে হবে। এছাড়া আসরের পরের ধাপের একটি ম্যাচও ৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে লাহোরে।