শেষপর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হচ্ছে। যেখানে পাকিস্তানে মাত্র চারটে ম্যাচই আয়োজন করা হচ্ছে। বাকী ৯ ম্যাচ খেলা হবে শ্রীলঙ্কায়। পাকিস্তান মূল আয়োজক হলেও এবারের টুর্নামেন্টটি তারা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করবে আগামী ৩০ অগাস্ট থেকে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে ফাইনাল ম্যাচের আয়োজন করা হবে।
এছাড়া এবারই প্রথম এই টুর্নামেন্টে মোট ৬ দল অংশগ্রহণ করতে চলেছে। দলগুলো হল- ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং আফগানিস্তান। মোট দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে দলগুলোকে। এ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান এবং নেপাল। অন্যদিকে বি গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান।
তবে এই টুর্নামেন্ট শুরুর একেবারে শেষ মুহূর্তে ম্যাচের সময় বদলে গেল। আগে ঠিক ছিল যে ম্যাচগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আয়োজন করা হবে। কিন্তু এবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে প্রতিটা ম্যাচই একটি নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হবে।
টুর্নামেন্টের নতুন সময় অনুসারে প্রতিটা ম্যাচই ভারতীয় সময় অনুসারে বেলা তিনটে থেকে আয়োজন করা হবে। এবারের এশিয়া কাপ ৫০ ওভারের ফরম্যাটে আয়োজন করা হচ্ছে। ফলে প্রতিটা ম্যাচই রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ শেষ হবে।
এদিকে রবিবার রাতে পাকিস্তান সরকার জাতীয় ক্রিকেট দলকে বিশ্বকাপ খেলার জন্য ভারতে আসার অনুমতি দিয়েছে। সেই সঙ্গে এশিয়া কাপ নিয়ে ভারতকে তারা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। পাকিস্তান সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, ‘আমরা ক্রিকেট আর রাজনীতিতে কখনই একসঙ্গে মিশিয়ে ফেলি না। আর সেকারণেই ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলার জন্য ভারতে আমাদের ক্রিকেট দল পাঠালাম। পাকিস্তান একথা মনে করে যে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন, তার কোনও প্রভাব আন্তর্জাতিক খেলাধুলোর উপর পড়া উচিত নয়।’
সেইসঙ্গে আরও যোগ করা হয়েছে, ‘এশিয়া কাপ খেলতে নিজেদের দল পাকিস্তানে পাঠায়নি। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান মনে করে যে ভারতের এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়।’