চীনের হাংজুতে গত বছর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এশিয়ান গেমস। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে গেমসটি পিছিয়ে এই বছর অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরই বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন বেশ কয়েকটি ডিসিপ্লিনের এন্ট্রি দিয়েছিল। আজকের (৬ মে) বিওএ নির্বাহী সভায় বাস্তবতার বিচারে সেগুলো পুনঃমূল্যায়িত হয়েছে।
এশিয়ান গেমসের শেফ দ্য মিশন ও বিওএ’র কোষাধ্যক্ষ একে সরকার ডিসিপ্লিনের ব্যাপারে বলেন, ‘আজকের সভায় শুধু পুরুষ ফুটবল বাদ দেওয়া হয়েছে, রাখা হয়েছে নারী ফুটবল। এছাড়া বক্সিংকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।’
বক্সারের সংখ্যা ও গেমসের প্রস্তুতি সম্পর্কে একে সরকার বলেন, ‘বক্সারের সংখ্যাটি আমরা শিগগিরই চূড়ান্ত করব। অনেক ডিসিপ্লিনই প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে। আমরা কিছু দিনের মধ্যে গেমসের প্রস্তুতির জন্য আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রদান করব।’
আসন্ন এশিয়ান গেমসে শুধু নারী ফুটবল দলই অংশগ্রহণ করবে। পুরুষ দলকে না পাঠানোর সিদ্ধান্তই হয়েছে আজকের নির্বাহী কমিটির সভায়। ২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল ইতিহাসসেরা ফলাফল করেছিল। এশিয়ান গেমস ফুটবলে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল জামালরা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ফুটবল দলের পারফরম্যান্স আশাব্যাঞ্জক নয়। মার্চের শেষ সপ্তাহে ১৯৯ র্যাঙ্কিংয়ে থাকা সিশেলসের বিপক্ষে এক ম্যাচ হেরে যায় তারা। পরবর্তীতে জামালরা আরেকটিতে জিতে সিরিজ ড্র করেছেন। বর্তমান পারফরম্যান্স ও সম্ভাবনা বিচার করে বিওএ পুরুষদের পরিবর্তে শুধু নারী দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাবিনারা প্রথমবারের মতো এশিয়ান গেমসে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। গেমসগুলোতে পুরুষ ফুটবল প্রতিযোগিতা অ-২৩ দলের সঙ্গে তিনজন সিনিয়র ফুটবলার অংশ নিতে পারেন। তবে নারী প্রতিযোগিতায় সিনিয়র জাতীয় দলই অংশ নেয়। এবারের এশিয়ান গেমসে খেলা হবে সাবিনাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অংশগ্রহণ।