তবে এর আগে গত ২৬ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।
বদলির শর্তসমূহ—
১. প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শূন্য পদের চাহিদা প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে প্রকাশ করবে।
২. পরবর্তীতে প্রকাশিত শূন্য পদের বিপরীতে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলির আবেদন আহ্বান করবে।
৪. আবেদনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা সর্বোচ্চ তিনটি কাঙ্খিত প্রতিষ্ঠানে বদলির জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করে আবেদন করতে পারবেন।
৫. প্রথম যোগদানের পর চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করার জন্য যোগ্য হবেন। বদলি হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর ন্যূনতম দুই বছর কর্মে নিয়োজিত থাকার পর পরবর্তী বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৬. বদলির জন্য কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকতে হবে।
৭. একজন শিক্ষক কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
৮. একটি শূন্য পদের জন্য একাধিক আবেদন পাওয়া গেলে নিম্নোক্ত অগ্রাধিকার বিবেচনা করতে হবে। নারী, স্বামী/স্ত্রীর কর্মস্থল, জ্যেষ্ঠতা, দূরত্ব প্রভৃতি।
৯. বদলিকৃত প্রতিষ্ঠানে যোগদানকৃত শিক্ষক-শিক্ষিকা ঐ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকার জ্যেষ্ঠতাক্রমের নিচে অবস্থান করবেন।
১০. দূরত্ব পরিমাপের জন্য google Map অনুসরণ করা হবে।
১১. অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য সম্বলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না। ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য প্রদান করলে এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
১২. বদলির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর এনটিআরসিএ শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত করবে।
১৩. একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে দুইজন শিক্ষক বদলির সুযোগ পাবেন। তবে পারস্পরিক বদলির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা প্রযোজ্য হবে না।
১৪ এমপিওভুক্ত আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়/সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে/প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বদলিকারী কর্তৃপক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে অভিযোগের প্রমানক থাকতে হবে।