সম্প্রতি প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনটিতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
এছাড়াও নারীদের মধ্যে ঋতুস্রাবজনিত নানা জটিলতা দেখা গিয়েছে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।
বিএইচইউ এর গবেষকেরা জানিয়েছেন, সমীক্ষায় ৬৩৫ জন নাবালক এবং ২৯১ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশ নিয়েছিলেন। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত এই সমীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, ৩০৪ জন সদ্য কৈশোরে পা দিয়েছে এমন কিশোর-কিশোরী (৪৭.৯ শতাংশ) এবং ১২৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক (৪২.৬ শতাংশ) শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন।
গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে নারীদের ক্ষেত্রে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৪.৬ শতাংশ নারীর দেহে ভ্যাকসিনের প্রভাবে ঋতুস্রাবজনিত নানা সমস্যা দেখা গিয়েছে। এছাড়াও ২.৭ শতাংশ নারীর চোখের সমস্যা এবং ০.৬ শতাংশের হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা গিয়েছে। ০.৩ শতাংশের স্ট্রোক এবং ০.১ শতাংশের মধ্যে গিলান-বারি সিন্ড্রোম (জিবিএস) দেখা গিয়েছে। এটি এমনই একটি বিরল রোগ, যার প্রভাবে দেহ ধীরে ধীরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার প্রাণঘাতী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ব্রিটিশ আদালতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেয় প্রস্ততকারক সংস্থা। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ ওঠা অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড তৈরিতে কাজ করে ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউট।
আদালতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, কোভিশিল্ডের প্রভাবে রক্ত জমাট বাঁধা বা প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন মানুষ।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে দু’টি কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হয়েছিল।