র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ ভারতের সহায়তা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ লাখ ভারতীয় বসবাস করে। সেখানে তারা খুবই শক্তিশালী। বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্য তারাও যুক্তরাষ্ট্রকে র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে অনুরোধ জানিয়েছে।
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি ঠিক আছে। বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা যে বিষয়টি বলছে সেটি হচ্ছে দায়বদ্ধতা। এই দায়বদ্ধতা ম্যাকানিজম র্যাবের অভ্যন্তরে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, র্যাবের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা সবাই জানেন। সেই ঘটনাই প্রমাণ করে র্যাবের বিষয়ে আমরা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছি। এদের অনেকেই শাস্তি পায়। কিন্তু এই বার্তাটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ঠিকমতো পৌঁছায় না।
চীনের ঋণ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের নেতিবাচক মন্তব্যের বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, হয়তো বিশেষ অভিসন্ধি আছে। হয়তো তারা যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে চায়। ২৮ এপ্রিল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সফরে তিনি (এস জয়শঙ্কর) বাংলাদেশকে সুখবর দেবেন। তবে কী সুখবর দেবেন তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
ড. মোমেন আরও বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্ভাব্য সফরে তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হবে। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতে পারেন এস জয়শঙ্কর। ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের মধ্যে সড়কপথে কানেক্টিভিটির প্রতিষ্ঠিত করার কাজ চলছে এবং এই উদ্যোগের সংযুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের আবার অনুরোধ করব। ইতোমধ্যে ভারত এ বিষয়ে রাজি হয়েছে এবং থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন যে, তাদেরও কোনো আপত্তি নেই।