সীমান্তের উত্তেজনার কারণে ভারত-পাক ক্রিকেটে সব সময়ই প্রভাব ফেলেছে। অথচ ক্রিকেটবিশ্বে এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মুখোমুখি লড়াই অনেক জনপ্রিয়। এই দুই দেশের উত্তেজনার কারণে ভারত-পাক লড়াই উপভোগ করা থেকে ক্রিকেটপ্রেমীদের বরাবর বঞ্চিত করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ মাঠে গড়ায়নি। বর্তমানে কাশ্মিরে সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য ভবিষ্যতেও ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা।
ভারতের এক গণমাধ্যমে রাজীব শুক্লা বলেন, ‘আমরা (হামলায়) ক্ষতিগ্রস্তদের পাশেই আছি এবং আমরা এর নিন্দা জানাই। আমাদের সরকার যাই বলুক না কেন, আমরা তাই করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে আমরা পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছি না এবং ভবিষ্যতেও আমরা তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলব না।’
তবে তিনি নিশ্চিত করেন, আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা চালিয়ে যাবে ভারত। মূলত আইসিসির বৈশ্বিক ইভেন্টের স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত ভারতের।
সর্বশেষ ২০১২-১৩ সালে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলার জন্য ভারতে আসে পাকিস্তান দল। সেটাই ছিল দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় শেষ সিরিজ। এর আগে, ভারত ২০০৮ সালে সর্বশেষ পাকিস্তান সফরে যায়। এরপর থেকে দুই দলের লড়াই কেবল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের মঞ্চেই সীমাবদ্ধ। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ভারতে খেলতে গেলেও ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত পাকিস্তানে খেলতে যায়নি।
উল্লেখ্য, হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেসিস্ট্যান্স’ নামে একটি গ্রুপ। গ্রুপটির দাবি, কাশ্মীরে ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষ বাইরে থেকে এসে বসতি গড়েছেন। এ কারণে স্থানীয় জনগণের ওপর ‘ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন’ ঘটানো হচ্ছে। এটি প্রতিরোধের জন্য তারা এ হামলা চালিয়েছে।