জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে ১৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোর পরিসর সম্পর্কে জানান দেয়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের অভ্যন্তরে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে উত্তর কোরিয়ার বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সহ্য করা যাবে না।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে উত্তর কোরিয়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয় বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের ‘দাঁতভাঙ্গা’ সামরিক জবাব দেওয়ার ব্যাপারে পিয়ংইয়ংকে সতর্ক করে দেওয়ার পর এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো নিয়ে আলোচনা করেন। উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করায় দেশটির লাগাম টেনে ধরতে প্রভাব খাটাতে মার্কিন নেতা চীনকে চাপ দেন। এদিকে পিয়ংইয়ং খুব শিগগিরই তাদের সপ্তম পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।