মাঠে খেলেন ক্রিকেটাররা আর গ্যালারিতে পুরো ম্যাচ মাতিয়ে রাখেন দর্শকরা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেই দর্শকদেরই মিলছে না মাঠে প্রবেশের অনুমতি। যে কারণে পরপর দুইটি আইপিএলে মাঠে প্রবেশ করা থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন দর্শকরা।
এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, গতবারের ন্যায় এবারও খালি গ্যালারিতে হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের ১৪তম আসরের সব খেলা। রোববার আইপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণার দিনই বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ আভাস দিয়ে রেখেছিলেন, আইপিএলের প্রথম অর্ধের বেশ কিছু খেলা রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামেই হবে। আর এবার পুরো টুর্নামেন্টের ব্যাপারেই এ কথা বললেন গাঙ্গুলি।
ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে দেয়া হয়েছিল দর্শক প্রবেশের অনুমতি। চেন্নাই ও আহমেদাবাদের গ্যালারিতে ছিল ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ দর্শক। তবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আট দলের আইপিএল এক নয়, তাই দর্শকশূন্য গ্যালারির কথাই ভাবছে বিসিসিআই। ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিসিসিআই প্রধান গাঙ্গুলি বলেছেন, ‘(দর্শকের ব্যাপারে) এখনও জানি না, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। দুই দলের সিরিজের চেয়ে একটু ভিন্ন আইপিএল। আপনি যদি দর্শক ঢুকতে দেন… এখানে মাঠে খেলবে দুই দল। বাইরে অনুশীলনেও থাকবে কয়েক দল।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনেক মাঠেই অনুশীলনের পিচগুলো বাইরে। যেখানে দলগুলো তাদের রুটিন অনুশীলন সেরে নেয়, কারণ নিয়মিতই খেলা থাকে। তো এমন অবস্থায় দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে তারা অনুশীলনরত দলগুলোর কাছাকাছি যেতে পারে। যা অনেক বড় ঝুঁকি হতে পারে।’ নির্ধারিত সূচির প্রায় ছয় মাস পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে হয়েছিল আইপিএলের ১৩তম আসরের খেলা। সেখানেও ছিল না দর্শক প্রবেশের অনুমতি। মূলত ঝুঁকি এড়াতেই দর্শক ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে আইপিএল।
এ বিষয়ে গাঙ্গুলি বলেছেন, ‘দুবাইয়েও একই ঘটনা ছিল। আমরা রুদ্ধদ্বার গ্যালারিতে শুরু করেছি এবং দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেয়ার কথা ভাবছিলাম। তবে যেহেতু সবকিছু দারুণভাবেই কেটেছে। তাই আমরা দর্শক আনার ঝুঁকি নেইনি।’
রোববার ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, ভারতের ছয়টি শহরে হবে আইপিএলের এবারের সব খেলা। শহরগুলো হলো আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা। তবে প্রথম রাউন্ডে সবগুলো দল চারটি মাঠে খেলবে নিজেদের সব ম্যাচ।