তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে তা দেখেই বন্যা পরিস্থিতি বুঝে থাকে ভাটি অঞ্চলের মানুষ। নেয়া হয় আগাম প্রস্তুতি। কিন্তু সেই তিস্তাপাড়ের মানুষই এবার আগাম সতর্কবার্তা পায়নি। হঠাৎই ভেসেছে ভয়াবহ প্লাবনে, তাই ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে কয়েকগুণ। তিস্তার উজানে ভারতীয় অংশে হেমন্তের এ সময়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংসহ কয়েকটি এলাকা। প্রতিবেশী দেশের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আগাম সতর্কবার্তা দেয়ার কথা বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কিন্তু বন্যার কোনো আগাম তথ্য পায়নি তিস্তা পাড়ের মানুষ।
ফলে আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত জনপদ। ডুবে গেছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদ্যুতের খুটি। বিপন্ন লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা। এসব ঘটনায় অববাহিকার দিশেহারা মানুষের জানমাল রক্ষায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি ক্রমেই জোড়ালো হচ্ছে। গজলডোবা ডুবিয়েছে ভাটির তিস্তা। তাহলে কি অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহ ও বণ্টনে বাংলাদেশের দাবি আমলে নেয়া হচ্ছে না?