টালমাটাল পুঁজিবাজারে এপ্রিলে নতুন করে ২৪৭ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টধারী বিনিয়োগকারী বাজারে এসেছেন। অধিকাংশ দিন সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হওয়ায় দেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, ঈদের ছুটি কারণে এপ্রিলে মাত্র ১৮ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এই ১৮ দিনের মধ্যে সূচক বেড়েছে ১২ কর্মদিবস আর কমেছে ৬ কর্মদিবস।
অধিকাংশ দিন সূচক বাড়ায় বিদায়ী মাসে বিনিয়োগকারীদের হারানো পুঁজি বা বাজার মূলধন ফিরেছে ৩ হাজার ৩২৪ কোটি ৪২ লাখ ৮১ হাজার টাকা। পুঁজিবাজারে ইতিবাচক ধারায় লেনদেন হওয়ায় বাজার মুখী হয়েছেন দেশি বিনিয়োগকারীরা। ফলে এপ্রিলে নতুন করে বাজারে এসেছেন ২৪৭টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টধারী বিনিয়োগকারী।
শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মতে, ৩০ মার্চ দেশের মোট বিনিয়োগকারীদের বিও ছিল ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৬০৫টি। এক মাসের ব্যবধানে ৩০ এপ্রিল মাসে সেই বিও সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৯৪টিতে। অর্থাৎ ১৮৯টি বেড়েছে।
এর মধ্যে ৩০ মার্চ দেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৯০ হাজার ৯৫৭টি। ৩০ এপ্রিল সেই বিও সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০৪টি। অর্থাৎ দেশি বিনিয়োগকারীর বিও বেড়েছে ২৪৭টি। কিন্তু এই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেছে। দেখা গেছে, বিদেশিদের বিও কমেছে ১১৪টি। ৩০ মার্চ তাদের বিও হিসাব ছিল ৬৩ হাজার ৮টি। সেখান থেকে ১১৪টি কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৮৯৪টিতে। সব মিলে ১৮৯টি বিও হিসাব বেড়েছে।
বিও বাড়ার মাসে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড কেনা-বেচা হয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।