আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এনপিপি ও অংঙ্গ সংগঠন ন্যাশনাল পিপলস্ ওলামা পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ সময় ছালু বলেন, জাতীয় নেতা শেখ শওকত হোসেন নিলু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এনপিপি সৃষ্টি করেছিলেন। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
শেখ শওকত হোসেন নিলুর একটা দাবি ছিল- সবি মসজিদ-মন্দিরের ইমাম ও পুরোহিতদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানী-ভাতা দেওয়া হোক। আমরা এখন সে দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি।
ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, বর্তমানে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। যার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাই সরকারের কাছে আবেদন করবো, যেন রেশনকার্ডের মাধ্যমে নিত্যপণ্য জনগণের মধ্যে সরবরাহ করা হয়।
এনপিপি চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যুতে আমাদের দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু তেলের দাম যখন বৃদ্ধি পায়, তখন এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ যেতো। অথচ এখন পাঁচ ঘণ্টা অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। এর প্রধান কারণ, বিদ্যুৎখাতে সীমাহীন দুর্নীতি। বিদ্যুৎ খাতে যে পরিমাণ দুর্নীতি ও কুইক রেন্টালে যে ভর্তুকি দেওয়া হয় তা দিয়ে আরও দুটি পদ্মা সেতু তৈরি করা যায়।
এনপিপি একটি নির্বাচনমুখী দল। আমরা গত সংসদ নির্বাচনে ৮২টি আসনে অংশ নিয়েছি। আগামী নির্বাচন ইভিএম বা ব্যালট যে নিয়মেই হোক, এনপিপি তাতে অংশ নেবে। গাইবান্ধার নির্বাচন নিয়ে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যেটা সঠিক মনে করেছে, সেটাই করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্য হলো- গণতন্ত্রের বিকাশ ও দলকে শক্তিশালী করা। সাম্যের রাজনীতি ও সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্যই আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো।
সম্মেলনে মাওলানা মুহাম্মদ লোকমান সাইফীকে সভাপতি ও মুফতি মুহাম্মদ ছাইফুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী দুই বছরের জন্য ৫১ সদস্যের ন্যাশনাল পিপলস্ ওলামা পার্টির কমিটি ঘোষণা করা হয়।
মাওলানা মুহাম্মদ লোকমান সাইফির সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন এনপিপি মহাসচিব ও সম্মেলনের প্রধান বক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই মণ্ডল, এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. ইদ্রিস চৌধুরী, শেখ আবুল কালাম, মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, যুুগ্ম মহাসচিব মো. এমাদুল হক রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম সামসুল আলম মিশুক, ওলামা পার্টির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতারা।