বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, এদিক-ওদিক করে লাভ নেই। মানে মানে সরে পড়ুন। কোনো মসনদই চিরস্থায়ী নয়।
রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ির নুর আহম্মেদ সড়কে দলীয় কার্যালয়ে এক শ্রমিক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, দফা এক, দাবি এক—পদত্যাগ করুন। এদিক-ওদিক করে লাভ নেই। কে কী বলল, যায় আসে না। বাংলাদেশের জনগণ বলছে, পদত্যাগ করুন। আর জনগণের দাবিই হলো আসল। বন্দুকের ভয় দেখিয়ে, মামলা দিয়ে আর কাজ হবে না। অসংখ্য লোকের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। যার কোনো ভিত্তি নেই। মামলা দিয়েও আন্দোলন দমাতে পারেননি।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হলো বক ধার্মিক। এখন চুপ করে আছে। ক্ষমতায় যাবার জন্য নতুন করে ফাঁদ পেতে আছে। তারা এখন বিদেশিদের দেখাচ্ছে কত ভালো তারা। বিরোধী দলকে মিছিল মিটিং করতে দেয়। সময় এলে আবার আগের রূপে ফিরে যাবে তারা।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা চায়। তাদের চরিত্র ভালো না। তাদের উদ্দেশ্য শুধু লুট করা। নতুন করে ক্ষমতায় যাবার জন্য তারা কৌশলে প্রশাসনকে সাজাচ্ছে। তাদের মন্ত্রী এমপিদের পিএস এপিএসদের বিভিন্ন জেলায় ডিসি পদে বসানো হচ্ছে, পছন্দের লোকদের ইউএনও বানাচ্ছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মুখে সুষ্ঠু নির্বাচনের সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। কিন্তু তিনি কিছুই করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন হচ্ছে ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’, তাদের কোনো ক্ষমতা নেই। আওয়ামী লীগ যা বলে, তা বাস্তবায়ন করে।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন `বিদেশিরা অন্য দেশে না গিয়ে কেন এখানে এসেছে? এরা ভোট চোরের আস্তানা ভেঙে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে এসেছে। তাদের কথা অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের সমর্থনের ভিত্তিতে আমাদের রাজনীতি নির্ভর করে না। তবে তাদের সমর্থনে জনগণ খুশি হয়, রাস্তায় নামে। মূল দায়িত্ব আমাদের। আমাদের জয়ী হতে হবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মীর নাসির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বান্দরবান বিএনপির নেতা ম্যামাচিং।