সদ্য ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেটকে সরকার গরিববান্ধব বললেও ড. কামালের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম এটাকে গরিবের বিরুদ্ধে বাজেট বলে দাবি করেছে। দলটি বলছে, এটি একটি সিন্ডিকেটের বাজেট।
শনিবার (৩ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে গণফোরামের নেতারা এসব কথা বলেন।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই বাজেটে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা কর পরিশোধ করার যোগ্য নন, এবার তাদেরও সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা দিতে হবে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপিদের কাছে গেছে—এসব অর্থ কীভাবে উদ্ধার করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেসব বিষয়ে বাজেটে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন, তাদের সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে বাজেটে।’
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ‘১৭ কোটি মানুষের সামনে একটা প্রতারণামূলক বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। এই বাজেট গরিবের বিরুদ্ধে। এটা একটা সিন্ডিকেটের বাজেট।’
মোকাব্বির খান আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে একটি সিন্ডিকেটকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জনগণের অর্থ যারা লোপাট করবে, জনগণের অধিকার যারা হরণ করবে, সেই লুটেরাদের বিরুদ্ধে মানুষ যেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে পারে, সে জন্য বিদ্যুৎ খাতে ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) আইন করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আবার সেই সিন্ডিকেট নির্বাচিত হলে ১৭ কোটি মানুষ আবার অধিকারবঞ্চিত হবে।’
গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সেলিম আকবরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশতাক আহমেদ ও মোমেন চৌধুরী।
