বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত বছরের ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৮১৬টি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে হিসাব ছিল ১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮৪টি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের হিসাব বেড়েছে ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩২টি বা ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে নারীদের হিসাব সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ১৮ হাজার ২৫৮টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হিসাব গ্রামের নারীদের, যার সংখ্যা ৯৪ লাখ ৭৯ হাজার ১৭টি। আর শহরাঞ্চলের নারীদের হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ২৪১টি।
গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৫৭টি, আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬০১টি। ২০২২ সালের একই সময়ে এজেন্টের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ২২৬ এবং আউটলেট ছিল ২০ হাজার ৮৩৬টি। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে এজেন্টের সংখ্যা বেড়েছে ৫৩১টি এবং আউটলেট বেড়েছে ৭৬৫টি। গ্রামীণ অঞ্চলে এসব ব্যাংকিং শাখা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে লেনদেন, চাঙা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি।
ব্যাংকিং শাখার পরিধি আরও বিস্তৃত করতে দেশে ২০১৪ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের উদ্ভাবন ঘটে। ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা পৌঁছানোই হয়ে উঠে এই ব্যাংকিংয়ের মূল উদ্দেশ্য। তাতে যেমন ব্যাংকের অতিরিক্ত শাখা নির্মাণ, অবকাঠামো ব্যয়সহ নানা খরচ কমেছে; তেমনি দেশজুড়ে বেড়েছে ব্যাংকিং সহজলভ্যতা। ফলে হাতের নাগালে পাওয়া ব্যাংকিং সেবায় বেড়েছে গ্রামীণ মানুষের আমানত।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু থেকেই গ্রামীণ মানুষের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় তারা ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। এতে গ্রামীণ মানুষ সহজেই মূলধারার অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে। ফলে সেখানকার নারীদের অংশগ্রহণও ব্যাপকহারে বাড়ছে। ব্যাংকিং খাতের বাকি নিয়ম মেনে এজেন্ট ব্যাংকিং এগিয়ে যেতে পারলে গ্রামীণ অঞ্চল সামষ্টিক অর্থনীতিতে বেশ ভূমিকা রাখবে।