নতুন বছরের প্রথম দিন স্বামী রাজের বিরুদ্ধে মারধোরের অভিযোগ এনে ঘর ছাড়েন পরীমণি। রাজও জানান, তাদের সম্পর্ক আর জোড় লাগবে না। এদিকে সামাজিক মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, এখনও একসঙ্গে আছেন পরীমণি-রাজ।
সংসার জীবনে আলাদা হলেও ভার্চুয়ালি এখনও একসঙ্গে আছেন রাজ-পরী। তাদের ফেসবুক আইডি ও পেজে চোখ বুলিয়ে বোঝা গেছে, বিচ্ছেদ হলেও কেউ কারও একটি ছবিও মুছে ফেলেননি। বিয়ে, মধুচন্দ্রিমা, বেবিবাম্পসহ বিভিন্ন সময় রাজের সঙ্গে তোলা খুনসুটি ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের স্থিরচিত্রগুলো এখনও নিজেরত ফেসবুকে রখেছেন পরীমণি। এমনকি সাগর তীরে রাজের সঙ্গে চুম্বনরত ছবিটিও সরাননি।
অন্যদিকে রাজও নিজের ফেসবুক থেকে পরীর ছবি ডিলিট করেননি। পরীর কপালে চুম্বনরত কভার ফটো এখনও শোভা পাচ্ছে তার আইডিতে। এছাড়া বিভিন্ন সময় ফেসবুকে স্ত্রী পরীর সঙ্গে প্রকাশ করা ছবিগুলোও বহাল তবিয়তে রয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, রাজের আইডিতে পরী এবং পরীর আইডিতে রাজের যে ছবিটি যেখানে যেমন ছিল সে ছবিটি এখনও সেখানে তেমনই আছে।
রাজ-পরীর সংসার বিষয়ক জটিলতা প্রকাশ্যে আসে ২০২২ সালে শেষ দিন। তবে তা ছিল পরীর দিক থেকে। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পরীমণি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, ‘হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’
তারপর শনিবার রাতে পরীমণি জানান, অভিমান ভুলে রাজের কাছে ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু এর কয়েকঘণ্টা পর মধ্যরাতে ফেসবুকে রক্তাক্ত বিছানা ও কোলবালিশের ছবি প্রকাশ করেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন, লোডিং…।’
গত বছরের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন এ বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। চলতি বছরের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য।