প্রভাবশালী আর অভিজাত পরিবারের সন্তান হয়েও খুব সাধারণ জীবন-যাপন করতেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অতি সাধারণ জীবন-যাপন করতেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন সদামাট পোশাক পরে। এমনকি দীর্ঘ ৩০ বছর এক শার্ট পরে কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করেছেন ভাঙা গাড়ি।
সাদা ও হালকা বেগুনি চেকের একটি শার্ট পরে বিভিন্ন সময়েই দেখা গেছে। এছাড়াও ধুসর রংয়ের এক ধরনের শার্ট পরতেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আর পরেন থাকত শাদা প্যান্ট। অনেকসময় তার পরনের প্যান্টে তালি দেখা গেছে।
বছর দুয়েক আগে এক আলাপচারিতায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে তিনি সাধারণ বেশভূষায় চলতে পছন্দ করেন। তিনি বলেন, একসময় লন্ডনে থাকা অবস্থায় সেখানকার রাজ পরিবারের প্রিন্স চার্লস যে টেইলারে স্যুট সেলাই করতেন, তার স্যুটও সেখানকার দর্জি সেলাই করে দিতেন। এসে তার জামার মাপ নিয়ে যেতেন।
তবে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার শার্ট ও প্যান্ট পরা, জীবনাচরণের ব্যাখ্যা দেন। তিনি বিভিন্ন ঘটনাও উল্লেখ করেন।
এছাড়াও তার প্রতিষ্ঠানের দামি গাড়ির অভাব ছিল না। তারপরেও তিনি একটি ভাঙা পুরনো মডেলের গাড়িতেই চলাফেরা করেছেন সবসময়। নতুন হতে দেখা যায়নি তার সেই পরনো গাড়ি।
উল্লেখ্য, বহু বছর ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ৮২ বছর বয়সী ডা. জাফরুল্লাহ। কয়েক দিন আগে তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এ অবস্থায় তাকে গত বুধবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিজের তৈরি হাসপাতালে থেকেই বিদায় নিলেন তিনি।