জমকালো আয়োজন আর অর্থের ছড়াছড়িতে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের চেয়ে এগিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। স্বাভাবিকভাবেই তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালুও অনেক বেশি। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৬তম আসরে যা আরও ৮০ শতাংশ বেড়েছে। আগের আসরে আইপিএলের ভ্যালু ছিল ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১৯,৪৬২ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার টাকা)। যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.২ বিলিয়ন ডলারে (৩৪,৬০০ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এই তথ্য জানিয়েছে। ২০২২ সালে গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং আমেরিকান সংস্থা হোলিহান লোকি যৌথভাবে একটি ব্র্যান্ড মূল্যায়ন সমীক্ষা চালিয়েছিল। সোমবার প্রকাশিত এর ফলাফলে ওঠে এসেছে আইপিএলের আর্থিক সাফল্যের রেকর্ড।
এক প্রতিবেদনে আমেরিকান সংস্থাটি বলছে, এবারের আইপিএলের আর্থিক সাফল্যে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। বছরের শুরুতে একটি প্রতিযোগিতামূলক নিলামের পর ২০২৩-২০২৭ মেগা চুক্তিতে মিডিয়া স্বত্ত্ব কিনে নেয় ভায়াকম ১৮ এবং ডিজনি স্টার। আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ত্ব ২০০৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১৮ শতাংশ ছিল, কিন্তু ২০১৭-২০২৩ চক্রের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৯৬ শতাংশ।
জানা গেছে, আইপিএলের সম্প্রচার ফি বিশ্বের অন্যান্য পেশাদার লিগের মতো প্রতি ম্যাচের ভিত্তিতে তুলনা করা হয়। যেখানে দেখা যায়, গ্ল্যামারাস এই টি-টোয়েন্টি লিগের স্কোর ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (NBA), ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) এবং বুন্দেসলিগার চেয়েও বেশি। এনএফএলের পরই রয়েছে আইপিএল।
দলগত দিক থেকে ব্র্যান্ড ভ্যালুতে সবার ওপরে অবস্থান বর্তমান আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। আগের আসরে তাদের ভ্যালু ছিল ১৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এবার ২১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তাদের মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের ভ্যালু বেড়েছে ৪৫.২ শতাংশ। এরপর অবস্থান বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ব্র্যান্ড ভ্যালু ৫২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে তাদের অর্জন ১৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক থেকে তিন নম্বরে অবস্থান পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। গত দুই মৌসুমে তারা টুর্নামেন্টটির প্লে-অফে জায়গা না পেলেও, তাদের ৩৪.৮ শতাংশ ভ্যালু বেড়েছে। এরপর যথাক্রমে অবস্থান কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রাজস্থান রয়্যালসের।