স্বামী-স্ত্রী ও এক সন্তানের পরিবার বসবাস করে চার বেডরুমের একটি বাড়িতে। ঐ বাড়ির মাসিক বিদ্যুৎ বিল সর্বোচ্চ কত টাকা আসতে পারে? ১০ হাজার, ৫০ হাজার, না হয় ১ লাখ? কিন্তু যদি ঘুম থেকে উঠে দেখেন পুরো মাসের নয়, মাত্র এক রাতেই আপনার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ টাকা, তখন কী করবেন? পড়ে চোখ কপালে উঠলেও স্কটল্যান্ডের কিলমারনক শহরের স্টুয়ার্ট নিলি-গেইল দম্পতির সঙ্গে এমন ঘটনাই ঘটেছে।
কিলমারনক শহরে চার বেডরুমের একটি বাড়ি আছে এই দম্পতির। সেখানে রয়েছে অভো এনার্জি সার্ভিসের গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ। সরাসরি ডেবিটের মাধ্যমে প্রতি মাসে গড়ে ১৫৬ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় যা ১৫ হাজার ৮৯০) বিদ্যুৎ বিল দিতেন তারা। কিন্তু গত রবিবার রাতে আশ্চর্যজনকভাবে তাদের বিদ্যুৎ বিল দেখায় ১৩ হাজার ৩৭ দশমিক ৭১ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৯ টাকা)।
তিনি আরো দাবি করেন, অতিরিক্ত বিল দেখানোয় এর আগেও তিনি বেশ কয়েকটি মিটার পরিবর্তন করেন। সর্বশেষ গত মাসেই গ্যাস ও বিদ্যুতের স্মার্ট মিটার বসান নিলি। এর ঠিক এক সপ্তাহ পরেই এমন ভূতুড়ে বিল আসে। ঘটনার পরপরই ব্যাংকের সঙ্গ যোগাযোগ করা হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে অ্যাকাউন্ট ঠিক করার জন্য বলে। এদিকে রোববার রাতে বিলের ব্যাখ্যা দিতে বলার পরপরই ত্রুটি ঠিক করে ১৫০ ইউরোর বিল ঠিক করে দিতে নিলির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওভো কর্তৃপক্ষ। স্টুয়ার্ট বলেন, ‘আমরা গত বছর থেকে ওভোর সেবা নিতে শুরু করি। আমরা সব সময় আমাদের অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে সরাসরি বিল দিয়ে থাকি।
গত কয়েক মাসের ক্রমবর্ধমান বিলের ওপর আমি নজর রেখে যাচ্ছিলাম। গত সপ্তাহেও আমার অনলাইন অ্যাকাউন্টে ১৮৯ ইউরো ডেবিট ছিল। কিন্তু গত মঙ্গলবার আমার ডেবিটের পরিমাণ দেখে ভয় পেয়ে যাই। একটি সাধারণ পরিবারের চার বেডরুমের বাড়ির জন্য ১৩ হাজার ইউরো বিল কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না। সানডে মেইল যখন ওভো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে, তখন তারা বলে, আমরা এরই মধ্যে ত্রুটি সংশোধন করে নিয়েছি। আমাদের এই ভুলের জন্য আমরা নিলি দম্পতির কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’