যশোরে নামের সঙ্গে আংশিক মিল থাকায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চলের পরিবর্তে সহিদুজ্জামান সেলিম ওরফে চঞ্চলকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। চাঁদাবাজি ও মারধরের একটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের রেলগেট এলাকা থেকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই আল মিরাজ খান তাকে আটক করেন।
যশোর শহরের ষষ্ঠীতলার বাসিন্দা সহিদুজ্জামান সেলিম ওরফে চঞ্চলের স্ত্রী রেশমা খাতুন জুলি অভিযোগ করেন, তার স্বামীর নাম সহিদুজ্জামান সেলিম ওরফে চঞ্চল, বাবা মৃত সবর আলী। চঞ্চলের জাতীয় পরিচয়পত্রেও (এনআইডি নম্বর-৭৭৬৪৪০৯৪১৮) তা উল্লেখ রয়েছে। অথচ যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের এএসআই আল মিরাজ খান ২০১১ সালের একটি মারধরের মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চলের পরিবর্তে তার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। ওয়ারেন্টে আসামি জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চলের পিতার নাম রয়েছে মৃত ইনতাজ আলী সবর, ঠিকানা : খড়কি রেলগেট উল্লেখ রয়েছে। আর আটক করে নেওয়া চঞ্চলের বাড়ি ষষ্ঠীতলা বিপি রোডে। জুলি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এএসআই আল মিরাজ খান রেলগেট থেকে তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যান। এ সময় তার স্বামী জাতীয় পরিচয়পত্র দেখালেও পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। পরদিন শুক্রবার তার স্বামীকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মারধরের ঐ মামলার বাদী খড়কি কাসারদিঘি এলাকার মৃত জিয়াদ আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম। ১০ বছর আগে সাত জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি (নং-৫০) করেন তরিকুল। যশোর আদালতের হাজতখানায় সহিদুজ্জামান সেলিম ওরফে চঞ্চল সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি মামলার বাদী তরিকুল ইসলামকে চেনেন না। তাকে কোনোদিন মারধরও করেননি। পুলিশ মামলার ওয়ারেন্টের আসামি জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চলের পরিবর্তে তাকে ধরে নিয়ে এসেছে।
আটককারী পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই আল মিরাজ খান জানান, চঞ্চলকে আটকের পর বাদী তরিকুল ইসলাম তাকে শনাক্ত করেছিলেন। এরপর বাদীর দেওয়া শনাক্ত সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র আদালতে তিনি দাখিলও করেছেন। উল্লেখ্য, যশোরে এর আগে নামের মিলের কারণে নিরীহ ব্যক্তিকে আটক এবং জেলহাজতে প্রেরণের একাধিক ঘটনা ঘটেছে।