প্রথমবারের মতো চালু হওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপও বাড়তে শুরু করেছে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামা করেছে ২২ হাজার ৮০৫টি। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা।
অন্যদিকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে ২৭ হাজার ১২১টি যানবাহন। যা থেকে টোল এসেছে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০ টাকা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটার দিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার ঢাকা মেইলকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেট রুট। ১৪ হাজারের বেশি যানবাহন এই পথে চলেছে।
একই সময়ে কুড়িল ধেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেট রুটে চলছে তিন হাজার ১০৫টি গাড়ি। বনানী থেকে কুড়িল ও এয়ারপোর্টের দিকে চলাচল করেছে দুই হাজার ৯৮৮টি যানবাহন।
আর তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও এয়ারপোর্টের দিকে চলেছে ছয় হাজার ৭২৮টি যানবাহন।
গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন। পরে প্রথম যাত্রী হিসেবে তিনি টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেন।
পরদিন রোববার সকাল ছয়টা থেকে সাধারণ মানুষের যানবাহন চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়।
নিয়ম অনুযায়ী এতে চলতে পারছে না মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা। তবে সুযোগ থাকলেও গণপরিবহন খুব একটা চলছে না। বেশিরভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে এক্সপ্রেসওয়েতে।
এদিকে যাত্রীদের চলাচলের জন্য ৭৯টি বিআরটিসি বাস চলাচলের ঘোষণা দেওয়া হলেও পরে তা স্থগিত করার কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।