ভর্তির ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধনে নাম বা জন্মসনদের পৃথক নম্বর দিয়ে যেসব শিক্ষার্থী একাধিক আবেদন করেছে তাদের ভর্তি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত এ ধরনের পাঁচটি আবেদন পাওয়া গেছে যারা জন্মনিবন্ধনের নাম এদিক-ওদিক করে, জন্মসনদের নম্বর ভিন্ন করে একাধিক আবেদন করেছে। এগুলো যারা করেছে সবাই ধরা পড়েছে। কারণ, ভর্তির সময় জন্মনিবন্ধন যাচাই করেই ভর্তি করানো হবে। এসব শিক্ষার্থী কোনোভাবেই ভর্তি হতে পারবে না।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ভর্তির ফলাফলের ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে প্রতিবছর ভর্তিযুদ্ধ হতো। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যুদ্ধে নামিয়ে দেওয়া হতো। একটা শিশু ভর্তি হতে এসেই হতাশ হয়ে যেতো। আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতো। এখন আর সেটা হচ্ছে না।
আসন সংখ্যা বিষয়ে তিনি বলেন, মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কেউ বাদ যাবে না। কারণ, শিক্ষার্থীর থেকে আসন বেশি। এখন মেধার সমতা হবে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়েছে। এ লটারি শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনছে। শিক্ষক যারা ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আছেন তাদের এখন সব শিক্ষার্থীকে মেধার তারতম্য থাকলেও সঠিকভাবে শিক্ষা দিতে হবে। যারা এখনো লটারিতে আসেনি তাদেরও কিন্তু লটারিতে আনার চেষ্টা চলছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম. হাবিবুর রহমানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও টেলিটকের উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
উদ্বোধনের আগে কারিগরি সহযোগিতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক জানায়, নির্ভুলভাবে লটারির জন্য তারা ডায়নামিক সফটওয়্যার বানিয়েছে। যার মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। এর যথাযথ কার্যক্রম মূল্যায়ন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।
চলতি বছর দেশের বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি। ফলে বেসরকারিতে আসন খালি থাকবে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪৭টি।
অন্যদিকে সরকারিতে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯০টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি। সে হিসাবে আসনপ্রতি ভর্তি হতে লড়বে ৫ দশমিক ৮ জন শিক্ষার্থী। সরকারি স্কুলে ভর্তি লটারি গতকাল সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়।