বাবা-মা পরম আদর-যত্ন আর শাসনে সন্তানদের বড় করে তোলেন। ভুল করলে শুধরে দেন, শাসন করেন, আবার ভালোর জন্য বাহবা দেন। ধীরে ধীরে সন্তানরা বড় হয়, আর বাবা-মা বয়সের ভারে নুয়ে পড়েন। সময়ের পালাবদলে বৃদ্ধ পিতা-মাতা যেন শিশু হয়ে ওঠেন, আর তাদের অভিভাবক ছেলে-মেয়েরা।
টলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একইরকম। পর্দায় একসময় তুমুল দাপটের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। ভারতীয় বাংলা সিনেমায় অসামান্য সাফল্য পেয়েছেন। ৭৭ বছর বয়সে এসে রঞ্জিত এখন যেন বুড়ো শিশু। তাকে আদর-শাসনে রাখেন মেয়ে, জনপ্রিয় অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক।
বাবা দিবসের আলাপে কোয়েল বললেন, ‘একটা বয়সের পর যেমন বাবারা বন্ধু হয়ে যায়, তেমনই বয়সকালে বাবাদের মা হয়ে ওঠে মেয়েরা। বাবাদের একটু কড়া চোখে রাখতে হয়। আমার বাবার ক্ষেত্রেও কিন্তু একই ঘটনা। আজকাল রীতিমতো বাবাকে জবাবদিহি করাই। কেন এটা করলে? কেন ওটা করলে না?’
বাবা রঞ্জিতকে শাসনে রাখার উদাহরণ দিয়ে কোয়েল মল্লিক বলেন, ‘বাবা একসময় সিগারেট খেত আমাকে লুকিয়ে! আমি যেহেতু একদমই পছন্দ করতাম না। ৮ বছর হয়ে গেছে বাবা সেই অভ্যাস ছেড়ে দিয়েছে। তবু এখনও কিছু এদিক-ওদিক হলেই মা বলে, দাঁড়াও কোয়েলকে বলছি। একটা ধমকানোর জায়গা হয়ে গেছে আরকি!’
যেই রঞ্জিত কোটি দর্শকের মন জয় করেছেন, দাপটের সঙ্গে ক্যারিয়ার গড়েছেন, সেই তিনি মেয়ের সব কথা শোনেন? কোয়েলের জবাব, ‘হ্যাঁ শোনে তো! শুনতে বাধ্য। আমি ছোটবেলায় খুব বাধ্য মেয়ে ছিলাম। সব কথা শুনতাম। ঠাকুমা আমার নাম দিয়েছিলেন লক্ষ্মী। তাহলে এখন বাবার পালা, পুরো নম্বর পাওয়ার।’
উল্লেখ্য, খ্যাতিমান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক সত্তরের দশক থেকে সিনেমায় কাজ করেছেন। টলিউডের ইতিহাসে অন্যতম সফল অভিনেতা তিনি। তার মেয়ে কোয়েল মল্লিকও সিনেমায় সাফল্য পেয়েছেন। শূন্য দশক থেকে এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন কোয়েল।