একসঙ্গে চার পুত্র সন্তানের জন্ম দেন রাজবাড়ী শহরের ভাজনচালা এলাকার রাজন বিশ্বাসের স্ত্রী বৈশাখী রায় (২৩)। কিন্তু সন্তান জন্ম নেওয়ায় আনন্দ বিলীন হয়ে যায় রাত পার হওয়ার আগেই।
গত শনিবার ভোর রাতে ঢাকার শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই চার নবজাতকের মৃত্যু হয়। জন্মের মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে সেই আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়। আনন্দের পরিবর্তে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বইছে শোকের মাতম।
জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম গ্রহণ করে চার নবজাতক। পরে নবজাতকের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শিশু হাসাপাতালে প্রেরণ করেন।পরে ঢাকার শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।গত শনিবার দুপুরে শহরের অম্বিকাপুর শ্মশানে মৃত চার নবজাতককে একসঙ্গে সমাহিত করা হয়।
সুমন কুমার বিশ্বাস জানায়, চার নবজাতকের মা বৈশাখী রায় আমার ছোট ভাই রাজন বিশ্বাসের স্ত্রী। তিনি রাজবাড়ী শহরের ভাজনচালা এলাকার ভোলানাথ বিশ্বাসের পুত্রবধু। রাজন বিশ্বাস পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী। নবজাতক চার সন্তানের মৃত্যুতে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নবজাতকদের বাবা রাজন বিশ্বাস বলেন, ২০১৯ সালে পারিবারিকভাবে বৈশাখীকে বিয়ে করি। গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় বৈশাখী।এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও ৩পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সে।এবারই প্রথমবারের মতো বাবা-মা হয়েছিলাম আমরা। বিধাতা আমাদের ৪টি পুত্র সন্তান দিয়েও একদিনের ব্যবধানে সব কেড়ে নিয়ে গেল। এ কষ্টের কোনো শেষ নেই।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চার পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বৈশাখী বিশ্বাস। নবজাতকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ৯টার দিকে চার নবজাতকে ঢাকার শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একজনকে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অন্যত্র নেওয়া হয় তিন নবজাতককে। রাত ২টার দিকে একজন মারা যায়, ভোর পর্যন্ত চারজনই মারা যায়। রাজন বিশ্বাসের স্ত্রী বৈশাখী রায় বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।