আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, পাঁচ বছরের একদিন আগেও ক্ষমতা ছাড়বে না আওয়ামী লীগ। বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক কোনো লাভ হবে না। ১০ ডিসেম্বর বিএনপিকে সমাবেশ করতে হলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই করতে হবে পল্টনে নয়। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ঘাটারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ৭১’সালে ২৫ নভেম্বর ঘাটারচরে পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার শহীদ বীরদের স্মরণে মিলাদ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে শহীদদের গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আইন করে শুধু পঁচাত্তরের খুনিদের রক্ষা করেনি তাদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। জয় বাংলা নিষিদ্ধ করেছিল। দালাল আইন বাতিল করে একাত্তরের রাজাকারদের পুনর্বাসন করেছিল, শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল, গোলাম আজমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনেছিলো আর বেগম খালেদা জিয়া নিজামীকে মন্ত্রী বানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্টের আগে হাওয়া ভবনে ২ বার মিটিং করেছে তারেক রহমান। আল্লাহর রহমত আছে বলে প্রধানমন্ত্রী আজও বেঁচে আছে আর বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ বিশ্বাস করে আজকের এ দিন থেকে উত্তরণ কেবল শেখ হাসিনাই করতে পারে।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড। তিনি ৮১ সাল পর্যন্ত বেঁচেছিলেন, এর মধ্যে ১৮টি ক্যু হয়েছিল। যেখানে জিয়াউর রহমান বিনা বিচারে হাজার হাজার সেনা-নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ফাঁসি দিয়েছিলেন। আমাদের দুঃখ ৭১ যারা গণহত্যা করেছে তারা আজ দেশে রাজনীতি করে।
তামাশা না করলে বিএনপি সম্মানজনক আসন পেতো বলেও জানান তিনি। পাঁচ বছরের একদিন আগের ক্ষমতার পালাবদল হবে না। ৩ মাসের সরকার ২ বছর কেটে ছিলো, তারেক রহমানকে যেভাবে মারা হয়েছিলো তিনি হেঁটে বিমানবন্দরে যেতে পারেননি। ন্যাড়া বেলতলা একবারই যায়। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, জামাত-বিএনপি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, বাংলাদেশ আজ উন্নত জাতি, তারা আমাদের অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো না, তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, তবে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তারা পালাবার সুযোগ পাবেন না। জনরোষের সামনে তারা কোথাও পালাতে পাবেন না।
বিএনপি কোনো মতেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল না। তাদের সঙ্গে কিসের আলোচনা? কিসের সমোঝোতা? সমোঝোতা একটাই সরকারি দল এবং বিরোধী দল হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। ৭১’ শহীদ পরিবার স্মৃতি সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব, সহ সভাপতি শফিউল আজম খান বারকু, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূইয়া, শাক্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রমুখ।