কম্বোডিয়ার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পিপলস পার্টি (সিপিপি) বিজয়লাভ করার ঘোষণা দেয়ার পর ‘একতরফা’ নির্বাচনের অভিযোগে দেশটিতে বেশ কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া দেশটিতে কিছু বিদেশি সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ওয়াশিংটন ‘বিচলিত’ যে নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সিপিপি কোনো কার্যকর প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়নি এবং নির্বাচন ‘অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না’। খবর রয়টার্সের
মিলার বলেন, ‘নির্বাচনের আগে, কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক বিরোধী, মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি এবং হয়রানির একটি প্যাটার্নে জড়িত ছিল, যা দেশের সংবিধানের চেতনা এবং কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক কর্তব্যকে ক্ষুণ্ণ করেছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়, কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচন ‘অবাধ বা সুষ্ঠু’ কোনোটাই হয়নি। এমনকি নির্বাচন শুরুর আগ থেকেই বিরোধী দল, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ এবং সর্বোপরি সংবিধানকে অবজ্ঞা করে আসছিল ক্ষমতাসীনরা। এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানের ধারেকাছেও যায়নি। তাই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সরকারি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন আয়োজনের এখনো সময় আছে। ক্ষমতাসীনরা চাইলে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারে। কিন্তু তার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা বন্ধ করতে হবে; গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। কোনোভাবেই তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করা যাবে না।
৩৮ বছর ধরে কম্বোডিয়া শাসন করা হুন সেন নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে পশ্চিমা উদ্বেগকে পাত্তা না দিয়ে তার বড় ছেলে হুন মানেতকে ক্ষমতায় অভিষিক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
হুন সেন এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি শাসক। গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসনের মাধ্যমে ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোরভাবে দমন করেছেন তিনি। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে দেশের আদালতকেও ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।